সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ সাপাহারের পাতাড়ী ইউনিয়নে ভিজিডির ৫২ বস্তা চাল ক্রয় ও অবৈধভাবে গুদামজাতের অভিযোগে এক চাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (৮জুন) শাজাহান হোসেন নামে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়,গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার পাতাড়ী ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। এ সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের সদস্যদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পাকা রাস্তার দক্ষিণ পাশে একটি চায়ের দোকান থেকে ৩০ কেজি ওজনের ১৩ বস্তা চাল উদ্ধার করে। প্রতিটি বস্তার গায়ে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ ও খাদ্য অধিদপ্তর লেখা আছে। সেখানে উপস্থিত সাক্ষীরা জানান, এই সব ভিজিডির চাল উপকারভোগীদের কাছ থেকে কিনে নেন উত্তর কলমুডাঙ্গা গ্রামের চাল ব্যবসায়ী শাজাহান আলী। পরবর্তীতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই চাউল ব্যবসায়ীর গ্রামের বাড়ির খলিয়ান ও বাড়ির গুদামঘর থেকে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি ওজনের আরও ৩৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যবসায়ীর তত্তাবধানে থাকা অবস্থায় মোট ৫২ বস্তা (১ হাজার ৫৬০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়। চাল উদ্ধারের ঘটনার পর থেকে ওই ব্যবসায়ী পলাতক রযেছেন।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান জানান, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারি চাল ক্রয় ও গুদামজাত করার অপরাধে স্থানীয় শাজাহান হোসেন নামের এক চাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১) ধারায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই উপজেলার বেশির ভাগ উপকারভোগীই ভিজিডি কার্যক্রমের আওতায় দেওয়া চালের ভাত খান না। তাঁরা চাল তুলে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এছাড়া অভিযোগ আছে, যেসব উপকারভোগী চাল বিক্রি করছেন, তাঁদের অধিকাংশই দুস্থ নন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট ধরে রাখতে এসব মানুষের মাঝে ভিজিডির কার্ড বিতরণ করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//