মোহাম্মদ সোহেল, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল):
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গৃহবধু প্রমিতি গোস্বামী পূজার মৃত্যুরহস্য উন্মোচনে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাবা সত্য রঞ্জন গোস্বামী।মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর হিন্দু ধর্ম রীতি অনুযায়ী বিবাহ হয় জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপার কোনা গ্রামের শিবনাথ কাঞ্জিলালের ছেলে পলাশ কাঞ্জিলালের সাথে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের কারণে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। উপায়ন্ত না দেখে তাকে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান করে নিহতের বাবা। তাতেও সে ক্ষান্ত হননি। এক পর্যায়ে তার গর্বের সন্তান আসলে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়, অপারেশনের পরে বিষাক্ত কোন ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের বাবা। পুজাকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল,ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাও করানো হয়। পরিশেষে তার অবস্থা বেশী খারাপ হলে ২০২১ সালে ১২ মার্চ বাগেরহাটের চিতলমারি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা সত্যরঞ্জন গোস্বামী বাদী হয়ে পূজার স্বামী পলাশ কাঞ্জিলাল, পিতা শিবনাথ কাঞ্জিলাল সহ পাঁচজনকে আসামি করে ভূঞাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ডিবিতে প্রেরণ করা হয়। গত ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিবি উত্তর টাঙ্গাইলের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আবু সিদ্দীক ঘটনার সততা পাওয়া যায়নি বলে এই মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এতে করে মেয়ের মৃত্যু ও ন্যায় বিচার নিয়ে শংকায় পড়েন বাবা সত্যরঞ্জন গোস্বামী। তিনি পুনঃ তদন্তের জন্য ২০২৩ সালে ৩ এপ্রিল আদালতে।আবেদন করেন।
নিহতের বাবা বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার হত্যা রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//