রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী : বাউফল উপজেলার নওমাল ইউপির নওমালা- বেতাগী এলাকায় খালের উপর নির্মিত আরসিসি ব্রীজটি প্রায় এক যুগ আগে ভেঙ্গে পড়লেও আজও পূন:নির্মাণ করা হয়নি ব্রিজ। তাই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর পরই স্থানীয়রা নিজেদের অর্থায়নে এখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন তারা । আর এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন বাঁধের হাট, নগরেরহাট,ঠাকুরের বাজার,বেতাগী বাজার, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,বেতাগী সিকদারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পশ্চিম নওমালা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসা,নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ,বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন গালর্স সেমিনারি,বেতাগী শরীয়াতিয়া দাখিল মাদ্রাসা,মধ্য নওমালা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা, পশ্চিম নওমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার এলাকাবাসীর যাতায়াত করেন এই ব্রিজ দিয়ে সেখানে এখন সবাই পার হয় বাশের সাকোর উপর দিয়ে ।
পশ্চিম নওমালা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাজিয়া, জান্নাত বলেন, প্রতিদিন আমরা এই সাঁকো পার হয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করি। কিছুদিন আগে এক শিক্ষার্থী সাঁকো পারাপারের সময় খালে পড়ে যায়।
মধ্য নওমালা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা সুলতানা জাহান বলেন, স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ও বাজারে যাতায়াতের সুবিধার জন্য গ্রামবাসী সাঁকো নির্মাণ করেছেন। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এই সাঁকো পারাপার হচ্ছে।
মোশারেফ প্যাদা নামের এক ব্যক্তি বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবী দীর্ঘদিনের। আমরা একটি সেতু চাই। সেতুটি নির্মাণ হলে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের উপকারে আসবে।
মোকলেছ আকন নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ব্রীজটি নির্মান হলে দশমিনা,গলাচিপা ও বাউফল উপজেলার সাথে যাতায়েতে অনেক সুবিধা হতো।
নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, ওই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ আসা যাওয়া করে।
তিনি দ্রুত ব্রীজটি নির্মানের জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, আমি যতটুকো শুনছি ব্রীজটি দশমিনা উপজেলার অধীনে তার পরেও আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//