কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কিশোর গ্যাং, নারী চক্র এবং ফিটিংস পার্টি আবার সক্রিয়।ভেড়ামারার চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন এর হিড়িমদিয়ার আশিক মানিক গ্রুপ প্রকাশ্য চাইনিজ কুড়ালি নিয়ে চলাফেরা করলেও দেখার কেউ নেই। নাসির কফি হাউজ এন্ড ফুড পার্ক এ তাদের আস্তানা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আশিক মানিক গ্রুপের আড্ডা ঐ নাসির কফি হাউজে। কফি হাউজ এন্ড ফুড পার্কের বলেন, চোর ডাকাত খারাপ ভালো সবাই আমার কাস্টমার। এলাকার মেম্বার ভুট্টো বলেন, জাকির মোহন গ্রুপ কে দমাতে তাদের কে তৈরি করা হয়েছে। এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলেই আজ আশিক মানিক গ্রুপের জন্ম।
কতিপয় ৩/৪ টা গ্রুপের নামে মামলা হলেও তারা জেলখানা থেকে বের হয়ে এসে আবার সক্রিয়।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, এইসব চক্র নজরদারিতে আছে। এলাকার শান্তি বজায় রাখতে কিশোর গ্যাং,নারী চক্র, ফিটিংস পার্টি কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি আরো বলেন, কিশোর গ্যাং, নারী চক্র, ফিটিংস পার্টি সক্রিয় । মাদক ইভটিজিংসহ নানা অপকর্মে জড়িত কিশোর গ্যাং। নারী চক্র দিয়ে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করার সংবাদ শুনেছি কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় মামলা দায়ের হয়নি।
সচেতন মহল এর দাবি এই গ্যাং গুলো কে দমন করতে না পারলে অপরাধ প্রবণতা আরো বেড়ে যাবে।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। কিশোর গ্যাং, ফিটিংস পার্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে ভেড়ামারা মিরপুর এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ফিটিংস পার্টির অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনতা।
শুধু তাই নয় তাদের গ্রুপে সুন্দরী নারী চক্র থাকায় তারা কৌশলে সুন্দরী মেয়েদের পাতা ফাঁদে অনেক কে ঘায়েল করে অর্থ বাণিজ্য করে চলেছেন। জনশ্রুতি আছে তাদের চক্র দেহ ব্যবসা ও করে চলেছেন এই নারী চক্র নিয়ে।
বিভিন্ন পত্রিকাতে মাঝে মাঝেই এ নিয়ে লেখালেখি হলেও প্রশাসন এর নিরবতা নিয়ে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এনিয়ে মামলাও হয়েছে কয়েকটি। এক ভুক্তভোগী জানান, সে ঢাকা থেকে ভেড়ামারাতে আসলে ফিটিংস পার্টি তাকে ধরে চড়থাপ্পড় মেরে পুলিশে দেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে তার কাছে থাকা টাকা এবং ৮০ হাজার টাকা দামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর করে স্হানীয় তার এক বন্ধুর পিতার সহায়তায় মুক্তি পেয়ে প্রাণে বেঁচে ঘরে ফিরতে পেরেছিলেন। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ মানসম্মানের ভয়ে মুখ খুলেনা।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post