ঈদের ছুটি ও রাতের আঁধারের আড়ালে একজন প্রভাবশালী এই পুকুর ভরাট করাচ্ছেন
একসময় পৌর এলাকায় অসংখ্য পুকুর জলাশয় থাকলেও কালের বিবর্তনে অবৈধ দখলদারের কবলে পড়ে তা নিশ্চিহ্ন প্রায়। যে কয়েকটি আছে তাও আবার দখল করতে মরিয়া ক্ষমতাসীনরা।
বলছি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রেলওয়ের জমি লিজকৃত ভেড়ামারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের শতবর্ষী পুকুর রাতের আঁধারে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন,ঈদের ছুটির মধ্যে রাতের আঁধারে সুকৌশলে একজন প্রভাবশালী এই পুকুর ভরাট করাচ্ছেন। নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু ফেলে পুকুরটির পাড়ের বেশকিছু অংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থ ও বাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য পুকুরটির পানি প্রয়োজন। তাই পুকুর ভরাট বন্ধ হওয়া উচিত। পুকুর ভরাট বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভেড়ামারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম মিন্টু বলেন,রেলওয়ের কাছ থেকে মসজিদের নামে পুকুরটি লিজ নিয়ে আমরা মাছ চাষ করি। মাছ চাষ করে যে টাকা হয় তা দিয়ে মসজিদটির উন্নয়নে কাজ করা হয়। ঈদের ছুটির মধ্যে হঠাৎ করেই রাতের আঁধারে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
ভূ-সম্পত্তি বিভাগ বাংলাদেশ রেলওয়ের পোড়াদহ ফিল্ড কানুনগো মো: সহিদুজ্জামান বলেন, ভেড়ামারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কাছে পুকুরটি লিজ দেয়া আছে। মসজিদ কমিটির লোকজন সেখানে মাছ চাষ করেন। ওই পুকুরটি অবৈধভাবে বালু ফেলে ভরাট কাজ করা হচ্ছিল।
বিষয়টি জানার পর ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আর অভিযোগপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। অবৈধভাবে বালু ফেলে রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ বলেন, অভিযোগপত্রটি পাওয়ার পরই পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুলকে বলেছি। তিনি বিষয়টিতে তার দায় অস্বীকার করেছেন। পুকুরটির ভরাট কাজ বন্ধ রয়েছে। কেউ ওই পুকুর ভরাটের চেষ্টা করলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//এপ্রিল ২৮, ২০২৩//

Discussion about this post