কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়ন এর বৃত্তিপাড়া নিবাসী শ্রী স্বপন কুমার হালদার এর পুত্র গত ১-৯-২০২২ তারিখে নিখোঁজ হলে প্রদীপ কুমার এর সহধর্মিণী পূর্নিমা রাণী বাদী হয়ে সুরজিত কুমার হালদার গং দের কে দায়ী করে ভেড়ামারা থানায় একটি অপহরণ এর অভিযোগ দায়ের করেন। যা আদালতের মামলা নং ভেড়ামারা সি,আর, ২২১/২০২২।
বিষয়টি শুরু থেকেই আমাদের কাছে সন্দেহ সৃষ্টি হলে আমাদের অনুসন্ধানী টিম ব্যক্তিগত ভাবে তদন্ত শুরু করেন । দীর্ঘ সময় তদন্ত করে সঠিক মুখোশ উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের অনুসন্ধানী টিম।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুরজিত কুমার হালদার এর বড় কন্যা সুবর্ণার সাথে প্রেম ছিল প্রদীপ কুমারের। প্রেমের টানে তারা উভয়ে ভেড়ামারা ছেড়ে গাজীপুরে গিয়ে ঘর বেঁধেছেন। প্রদীপ কুমার একটি কোম্পানি তে চাকরি করছেন বলে আমাদের কে জানিয়েছেন। প্রদীপের প্রথম স্ত্রী পূর্নিমা একবার বলেন আমার স্বামী কোথায় আছে জানিনা, বেচে আছে নাকি মারা গেছেন সেটাও জানিনা। আবার ঐ মুখেই আমাদের কে বলেন, বড়লোক শ্বশুর এর বাড়িতে গেলেই পাবেন প্রদীপ কে। প্রদীপ ও তার ২য় স্ত্রী সুবর্ণা কোর্টে আসছিল। আমি গরীবের মেয়ে আমি যাবো কোথায়? আমি প্রদীপের ভাত খাবো। আমার অধিকার চাই। অধিকার না পেলে আমি আবারও মামলা করবো ইত্যাদি।
প্রদীপ আমাদের অনুসন্ধানী টিমের কাছে স্বীকার করেছে তাকে কেউ অপহরণ করেনি তারা উভয় উভয়কেই খুব ভালবাসে বলে ভালবাসার টানে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। খুব শীঘ্রই তারা ভেড়ামারা তে ফিরে আসবেন। প্রথম স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ হয় কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, রিং করলে ধরেনা। একাধিক বার রিং করেছি পরিবারের লোকজনের কাছে।
পাঠক সমাজ আপনারাই বলুন, জীবিত স্বামী দিব্যি ২য় বৌ সুবর্ণাকে নিয়ে ঘর করছেন। তাকে কেউ অপহরণ করেনি এমনকি তাদের অনেকের সাথে যোগাযোগ ও হয় তারপর ও মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ২য় স্ত্রীর বাবা মাকে শায়েস্তা করতে তাদের নামে মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
মামলার ( সিআইডি) কর্মকর্তা তার তদন্ত প্রতিবেদনে ও লিখেছেন এটা অপহরণ নয়, প্রেম ঘটিত ঘটনা। প্রদীপ কুমার তার ২য় স্ত্রী নিয়ে সংসার করছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, আমি/আমরা সংবাদ মাধ্যম কর্মী ব্যক্তিগত ভাবে কারোর সাথে আমার/ আমাদের কোন বিরোধ নেই, কারোর চরিত্র হনন করারও কোন উদ্দেশ্য নেই ।
তবে আমার/ আমাদের কাজ হলো দুর্নীতিবাজদের মুখোষ উম্মোচন করা! আমরা দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করে প্রদীপ কুমার এর সাথে সাক্ষাৎ এবং তার প্রথম স্ত্রী ও বাবা মায়ের সাথে কথা বলে শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি যে এটা অপহরণ নয়, এটা প্রেম ঘটিত ঘটনা। সতিনের পিতা মাতা কে শায়েস্তা করতে বাদী পূর্নিমা মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে বাদীর স্বামী প্রদীপ আমাদের কে জানান।
ভেড়ামারার আলোচিত শ্রী প্রদীপ কুমার অপহরণ হয়নি। সে জীবিত আছে এটা উভয়ই পরিবারই জানেন। তারপর ও অপহরণ এর অভিযোগ কেন? এটা বিচারের দায়িত্ব পাঠক সমাজের প্রতি রইল।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৫ জুলাই ২০২৩