কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় চাঁদগ্রাম পৌর ৩নং ব্রিজ থেকে হিসনা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল বলেন, জনগনের দীর্ঘ প্রত্যাশিত রাস্তা নির্মাণ করে যানজটমুক্ত ভেড়ামারা গড়ে তুলবো।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১২ টায় পৌরসভা কার্যালয়ের অফিস কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, ভেড়ামারা পৌরসভা এলাকার হিসনা ব্রিজ থেকে দক্ষিণ রেলগেট পর্যন্ত ভয়াবহ যানজটের কারণে সৃষ্ট জনদূর্ভোগ নিরসনে আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক চাঁদগ্রাম পৌর ৩নং ব্রিজ থেকে হিসনা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের উদ্যোগ গ্রহন করি এবং এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বিধি মোতাবেক যোগাযোগ অব্যাহত রাখি। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক সম্মতির পর থেকে দীর্ঘ ১ বছরের বেশি সময় ধরে উল্লিখিত রাস্তা বাস্তবায়নে সহযোগিতার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীবর্গ, রেলবাজার বণিক সমিতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজসহ অন্যান্য শ্রেনীপেশার প্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে অসংখ্যবার মতবিনিময় করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভেড়ামারা পৌরসভার অনুকূলে (১ একর.১৬ শতক) জায়গা লীজ বন্দোবস্ত প্রদান করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের উর্দ্ধতন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন কয়েক দফা ভেড়ামারায় এসে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের পূণর্বাসনের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে রাস্তা সম্প্রসারণের স্বার্থে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পিছনে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সময় নির্ধারন করেন। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে অধিকাংশ ব্যবসায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক নিজ নিজ উদ্যোগে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়। তবে এলাকার চিহ্নিত একটি স্বার্থান্বেষীমহলের প্ররোচণায় গুটি কয়েক দোকানী তাদের বর্ধিত অংশ ভাঙতে নানা টালবাহানা করতে থাকে। মূলত: চিহ্নিত এই গুটিকয়েক দোকানী রাস্তা সম্প্রসারণ বিষয়ে নেতিবাচক নানা অপপ্রচার, জনমনে বিভ্রান্তি ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে চলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার নেতৃত্বে উল্লেখিত রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণ রেলগেট থেকে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের গেট পর্যন্ত রেলওয়ের জমি অবমুক্ত করে পৌর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। অবমুক্ত এলাকার উচ্ছেদ হওয়া দোকানদাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের দোকানগুলো পিছিয়ে নিয়ে পুন:স্থাপিত করতে পারে, পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দকে সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট দোকানীদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ ও সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি পূণর্বাসন নিশ্চিত করতে আমি শতভাগ আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততার সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছি। আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে চিহ্নিত উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তির কোনো প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পূন:নির্মাণে মনোযোগি হতে আহ্বান জানাচ্ছি।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৬ অক্টোবর ২০২৩

Discussion about this post