১১ আগস্ট কুষ্টিয়ার হাডিঞ্জব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীতে একটি অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ নিশ্চিত হয় লাশটি একজন পিকাপ চালকের। ওই চারকের নাম মিনারুল ইসলাম (৪৩) তার পিতার নাম আইয়ুব আলী। সাং-নীলগঞ্জ তাতীপাড়া, ৯নং ওয়ার্ড, কোতয়ালী, যশোর।
এই খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য কুষ্টিয়া পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট কাজ শুরু করে। তারা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে খুনীদের সনাক্ত করে। এরপর মোঃ তুফান হোসেন (২০),পিতা- আব্দুল মালিথা, সাং-রামকৃষ্ণপুর, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামী গ্রেফতার করে।
১৩/০৮/২০২২ তারিখ কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মো: খাইরুল আলম তার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং জানান আসামীদের ধরা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া পিকআপ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি জানান, ১০ আগস্ট সকাল ১১.০০টায় আসামী মোঃ তুফান হোসেন (২০) এবং তার অপর সঙ্গী ভেড়ামারা থেকে ট্রেন উঠে যশোর যায়। মেশিনারীজ দোকানে পার্টস কেনার সময় ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয়। তাকে বলে, ভেড়ামারায় তাদের একটি ট্রাকের ইঞ্জিন আছে। সেটি মেরামতের জন্য যশোর আনতে হবে। এ জন্য ভিকটিমের পিকআপটি ভাড়া নেয়।
এরপর পিকআপ নিয়ে ১০/০৮/২০২২ সন্ধ্যায় তার ভেড়ামারার উদ্দেশ্যে রওনা করে। একই তারিখ রাত্র ১২টার আগেই তারা ভেড়ামারার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মওলা হাবাসপুর গ্রামে পৌছায়। সেখানে অপেক্ষায় থাকা অপর আসামী সহ ৩জন মিলে ভিকটিমের গলায় গামছা পেচিয়ে মুখে এবং পায়ে কসটেপ মেরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এরপর একই পিকআপে ভিকটিমের লাশ নিয়ে আসামীরা ১১/০৮/২০২২ তারিখ রাত্র ১টার পর ভেড়মারার চর গোলাপনগর গ্রামস্থ মনি পার্কের পার্শ্বে শ্বশান ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীর কিনারে লাশ ফেলে দিয়ে পিকআপ নিয়ে চলে যায়।
পিকআপ ড্রাইভার। তার নিজ নামীয় পিকআপের রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো ন-১৮-১১৮৫ রঙ হলুদ ও নিল।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post