এমনিতেই মাদকে ছয়লাব ভেড়ামারা। অপরদিকে থার্টি ফার্স্ট ডে কে সামনে রেখে ভেড়ামারায় মাদক ব্যবসায়ীরা নড়েচড়ে বসেছেন।
ভেড়ামারার পৌর এলাকাসহ ৬ টা ইউনিয়নে মাদকে ছয়লাব। উর্তি বয়সের যুবকরা ক্রমাগত সঙ্গদোষে মাদকের কবলে আসক্ত হয়ে চলেছে।
ধরমপুর ইউনিয়নে একাধিক মাজার থাকায় গাঁজার ব্যাপক প্রচলন আছে। সবগুলো মাজারের পাশাপাশি সাতবাড়িয়ার মন্ডলপাড়া, জামে মসজিদের উত্তর পার্শ্বে, সোনালী বিড়ির সামনে, ইউনিয়ন পরিষদের পাশে, বিলশুকা, ডাকেরবাড়ি, পাটুয়াকান্দি, হাওয়াখালি, ধরমপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় মাদক সেবী এবং ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আনাগোনা।
রিয়াজ নামের একজন বলেন, একালায় বাবা ঘোড়ে শাহ এর মাজারসহ একাধিক মাজার থাকায় এখানে গাঁজাসহ নানা মাদক খাওয়া ইতিহাস সকলেরই জানা। এই মাদক সেবীদের মধ্যে বর্তমানে স্কুল কলেজের ছাত্রদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুসন্ধানে এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হিসনা নদীর পাড়ে বিভিন্ন বাগানে ( সাতবাড়িয়া হাসপাতাল থেকে বৃত্তি পাড়া রোড়), বিভিন্ন দোকানে বোড খেলার আড্ডায়, তাসের আড্ডায়,,, মাদক সেবী এবং ব্যাবসীদের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়। মাদক সেবী
সুমন এর বাবা বলেন, আমি চেয়ারম্যান, মেম্বার থেকে শুরু করে থানায় ও গিয়েছিলাম তার ছেলে কে জেলে পাঠানোর জন্য। ছেলের সাথে আমরা পারিনা। কোন সুরাহা হয়নি।
জিয়া নামের একজন বলেন, বিকেল এবং সন্ধ্যায় বিলশুকার মাঠ রোডে এবং হিসনা ব্রীজ পার করে উত্তর দিকের ভিতরের রোডে মাদক সেবী এবং ব্যবসায়ীদের মোটরসাইকেল এর প্রতিযোগিতা মনে হয়। সেই সাথে ইভটিজিং ও বেড়েছে।
ভাংগা পুলের শরিফ নামে একজন বলেন, ভাংগা পুল পার করে কামালপুর রোড থেকে মাজার পর্যন্ত একই অবস্থা। এক জন জনপ্রতিনিধি জানান, মাদক সেবী এবং ব্যবসায়ীদের হাত অনেক লম্বা। তাই তাদের কে বলেও কোন কাজ হয়নি। তবে এলাকার সুধী সমাজ মনে করেন, পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকার প্রভাবশালী নেতারা চেষ্টা করলে এলাকা মাদক মুক্ত করা সম্ভব। কিন্তু তাদের তেমন ভূমিকা লক্ষ করা যায়না। মাঝে মাঝে কুষ্টিয়া থেকে- ডিবি পুলিশ এর অভিযান লক্ষ করেছি।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে নামের আদ্যক্ষরের- রি, জ, স, ম, স-২, প, নাম অতি অতিপরিচিত। গ্রামের সুবিশাল বাগান এবং নানা জায়গায় যাওয়ার রাস্তা থাকায় থাকায় সেবীদের নিরাপদ অভয়ারণ্যে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনালী বিড়ি এলাকার সুজন নামে এক ভুক্তভোগী পিতা।
বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক সেবী বলেন, এলাকায় একাধিক মাজার থাকায় বাহির থেকে মাজারে লোকজন আসে তাদের মধ্যে গাঁজা খাওয়ার কথা সকলের জানা। কিন্তু তাদের সাথে এলাকার কিছু সেবী এবং ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়ায় গাজা ছাড়াও ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের ব্যবসা ভালোই চলে। র,জ,স,চ, ম,আদ্যঅক্ষরের কয়েকজন ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন এই প্রতিবেদককে।
খালীদ//দৈনিক দেশতথ্য//ডিসেম্বর ০১,২০২২//

Discussion about this post