শেখ দীন মাহমুদ,খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার দিঘলিয়ায় ১৪ বছরের কিশোর ভ্যান চালক ইমরান হত্যায় আটক আসাদুল (২৫)
ও আলামিন (২৪) হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আটককৃতদের দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিশেষ ব্যবস্থায় আদালতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতে তারা কিশোর ইমরানকে হত্যার দায় স্বীকার করে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এর আগে ১৫ এপ্রিল দিঘলিয়া থানা পুলিশ আসাদুল ও আলামীনকে আটকের পর মামলার তদন্তকারী সংস্থা খুলনা নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌ পুলিশের এসআই নূরুল ইসলাম আটককৃতদের ইমরান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার
সেনহাটি গ্রামের হতদরিদ্র ইমরান সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। একইদিন বিকালে দিঘলিয়া গ্রামের সর্দারঘাট খলিলের ইট ভাটার কাছে ভৈরব নদীর তীর থেকে দিঘলিয়া থানা পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের গলায় তখন ফাঁসের চিহ্ন ছিল। ঘটনার ১ দিন পর নিহতের পিতা মিঠু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গুম ও
হত্যা আইনে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫। তাং
৪/৯/২০২১।
এরপর দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরীর নির্দেশে হত্যার প্রকৃত মোটিভ উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত
কার্যক্রম শুরু হয়। পরে খুলনা নৌ পুলিশের এসআই মোকলেছুর মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। পূর্বের
তদন্ত কর্মকর্তা বদলী হলে বর্তমানে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নূরুল ইসলাম
মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
এরই মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল দিঘলিয়া থানা পুলিশ অন্য একটি মামলার আসামি ধরতে
গিয়ে আসাদুল এবং আলামীনকে বারাকপুর থেকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক
পর্যায়ে তারা দু’জনসহ ৩ জন মিলে কিশোর ভ্যান চালক ইমরানকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পর লাশ ভৈরব নদীতে ফেলে দেয় বলে অকপটে স্বীকার করে। এরপর তারা ভ্যানটি বিক্রির অর্থ ভাগ করে নেয় বলেও জানায়।
এদিকে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) গভীর রাতে খুলনা নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ
অনিমেষ হালদার এর নেতৃত্বে নৌ পুলিশের একটি দল দিঘলিয়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় বারাকপুর গ্রাম থেকে হত্যাকান্ডের সংগে জড়িত অপর আসামি শরীফ (৩০) কে আটক করেছে বলে জানানো হয়েছে।

Discussion about this post