জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক পশুর হাট প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র দুই দিন বসানোর কথা উল্লেখ থাকলেও নিয়ম ভেঙে তা ১০ দিন কোরবানির পশুর হাট বসানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পার্শ্বস্থ অন্যান্য বাজারের ইজারাদারগণ।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ফকিরনীরহাট বাজারের ইজারাদার মো. ওসমান গণি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ১০ দিন আগে থেকেই হাট শুরু করেন মইজ্জ্যারটেক ইজারাদার। যদিও শুধুমাত্র দুদিন পশুর হাট বসানোর কথা বলেছেন উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়াও অস্থায়ী হাটের নির্ধারিত সীমানা ছাড়িয়ে সিডিএ আবাসিক মাঠেও হাট বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হাটের ইজারাদার ১০ দিন ব্যাপী মইজ্জ্যারটেক গরু-ছাগলের বাজার বসবে বলে বিজ্ঞপ্তি, ব্যানার ও তোরণ নির্মাণ করেছেন মহাসড়কে।
স্থানীয়রা বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে হাটের প্রস্তুতি নেওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আগেই হাটে পশু চলে আসায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। ইজারাদাররা সবাই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী হওয়ায় এ নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারেন না। তবে ইজারাদারদের দাবি, তাঁরা যাকে ম্যানেজ করতে হয় তাকে ম্যানেজ করেই এসব একচেটিয়া কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
ইজারাদারের একজন মো. ইসমাইল জানান, ‘আমরা দুই মাস আগে থেকে কাজ শুরু করেছি। আমাদের আরও একটি হাট রয়েছে কলেজ বাজারে। ১০ দিন যাবত বাজার বসবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের হাটের অনুমতি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হা আমরা ১০ দিনের অনুমতি পেয়েছি।’ কিন্তু কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে যে ইজারা দরপত্র প্রকাশ হয়েছে, তাতে স্পষ্ট লিখা রয়েছে মইজ্জ্যারটেক পশুর হাট বসবে ২ দিন। যার সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকা।
ফকিরনীরহাট পশুর হাটের ইজারাদার মো. ওসমান গণি ডিসির কাছে দেয়া তাঁর লিখিত আবেদন অনুযায়ি বলেন, ‘ভ্যাট আয়করসহ সর্ব মোট ৯৬ লাখ টাকা দিয়ে ফকিরনীরহাট বাজার ইজারা পেয়েছি। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ২৫ ও ২৮ জুন ফকিরনীরহাট বাজার বসবে। উক্ত দুই দিন মইজ্জ্যারটেক গরু ছাগলের হাটে বেচাকেনা বন্ধ না রাখলে আমি আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছি। কেননা, মইজ্জ্যারটেক হাট শুধু ২ দিন বসার কথা উল্লেখ রয়েছে। তা যদি ১০ দিন বসে তাহলে দরপত্র বিরোধী হবে।’
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদ (গণমাধ্যম) বলেন,‘পূর্বের মতো নিয়ম অনুসারে পশুর হাট বসবে। এর বাইরে হাট বসানোর সুযোগ নেই। দরপত্রে দুই দিন কুরবানির পশুর হাট বসবে লিখা রয়েছে তা সত্য। সীমানার বাইরে হাট বসানোসহ নিয়ম ভাঙার যে অভিযোগগুলো আসছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
দৈনিক দেশতথ্য// এইচ//

Discussion about this post