মোঃ ছালাউদ্দিন, মনপুরা (ভোলা) সংবাদদাতা : ভোলার মনপুরায় মেঘনায় ইলিশ শিকারের সময় জলদস্যুরা ৭ জেলেকে অপহরণ করে হাতিয়ার চরচেঙ্গা গহীন বনে নিয়ে যায়।শনিবার ভোর রাত ৬ টায় চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনায় মাছ শিকারের সময় এই ঘটনা ঘটে। পরে সকাল সাড়ে ১০ টায় জলদস্যুরা মুঠোফোনে অপহৃত জেলেদের আড়তদারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দাবি করে।
অপহৃত জেলেরা হলেন, মোঃ বাবুল মাঝি (৩২), ইসমাইল মাঝি (৩৫) সোহেল সুকানি (৪০), জাহাঙ্গীর মাঝি (৩৫), সোহেল মুন্সি (৩৮), রিয়াজ মাঝি (৩২) ও বাছেত মাঝি (৪৫)। এদের সবার বাড়ি উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। অপরদিকে অপহৃত ট্রলারের মালিক জাহাঙ্গীর মাঝি।
জলদস্যুদের হামলা ও এক ট্রলারসহ ৭ জেলে অপহরণের ঘটনাটি নিশ্চিত করেন অপহৃত জেলেদের আড়তদার ও ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল। জেলে ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর রাত ৬ টায় চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনায় জাল ফেলে মাছ শিকার করা অবস্থায় প্রথমে জলদস্যুরা হামলা চালায় বাবুল মাঝির জেলে ট্রলারে। একপর্যায়ে জলদস্যুরা একই স্থানে মাছ ধরা অবস্থায় পর্যায়ক্রমে ইসমাইল মাঝি, সোহেল সুকানি, জাহাঙ্গীর মাঝি, সোহেল মুন্সি, রিয়াজ মাঝি ও বাছেত মাঝির জেলে ট্রলারে হামলা চালায়। পরে জলদস্যুরা জাহাঙ্গীর মাঝির ট্রলার সহ জাহাঙ্গীর মাঝি ও প্রত্যেক জেলে ট্রলারের প্রধান মাঝিকে অপহরণ করে হাতিয়ার চরচেঙ্গা গহীন বনে নিয়ে যায়। পরে জলদস্যুরা মুঠোফোনে আড়তদার ও ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজলের কাছে অপহৃত জেলেদের মুক্তিপণ বাবদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দাবি করে। ঘটনাটি অপহৃত জেলেদের পরিবার ও আড়তদার জানলে থানায় এসে অপহরণের ঘটনাটি জানান বলে দাবী করেছেন জেলেদের পরিবার বর্গ।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, চরপিয়াল হাতিয়ার সীমান্তে মনপুরার ৭ জেলেকে অপহরণের ঘটনা মৌখিক শুনেছি। জেলেদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post