ভোলার মনপুরার মহিষের কাঁচা দুধের টক দই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত দই খেয়ে বিষক্রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন।
অনেকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ খালিদ হাসান তামিম।
তিনি জানান, টক দইয়ের মধ্যে বিষাক্ত জীবানু ছিল, সেই বিষাক্ত জীবানু মিশ্রিত দই খেয়ে সবার ডায়রিয়া ও জ্বর হয়। যাদের অবস্থা খারাপ ছিল সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই, অসুস্থ সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ খালিদ হাসান তানিম , উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম ও ওসি মোঃ জহিরুল ইসলাম।
টক দই খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অসুস্থ রোগিরা হলেন, মহিদুল ইসলাম, খাদিজা, ছামিউল, মাইসা, ছাওদা, ফারহানা, ইয়ামিন, আমেনা, ছালেকা খাতুন, জুমুর, ছুমাইয়া, রকি, আলাউদ্দিন, আফিফা, রিয়াজ, অফি, রিক্তা, হান্নান, নুশরাত, ময়ফুল, জহীর, মুজাহিদুল ইসলাম, রাশেদ, তানিয়া, তাহমিনা, মিষ্টি ও মনির। এছাড়াও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মামুন, ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা আবদুল মতিন মাতাব্বর, সাখাওয়াত, হোসেন, আলাউদ্দিন, খোকন, শামীম, খোরশেদ, রাসেল, সুমন, সাহাবুদ্দিন সহ অনেকে। এদের সবার বাড়ি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শুক্রবার রাতে টক দই খাওয়ার পরই পেটে ভীষণ ব্যাথা শুরু হয়। পরে ডায়রিয়া শুরুর পাশপাশি প্রচন্ড জ্বর অনুভুত হয়। তখন হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকরা ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়।
এই ব্যাপারে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ খালিদ হাসান তামিম জানান, টক দইয়ের মধ্যে বিষাক্ত জীবানু ছিল, সেই বিষাক্ত জীবানু মিশ্রিত দই খেয়ে সবার ডায়রিয়া ও জ্বর হয়। যাদের অবস্থা খারাপ ছিল সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই, অসুস্থ্য সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাশুনে রাতে হাসপাতালে রোগি দেখতে যাই। অসুস্থ সবাই টক দই খেয়ে এই অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছে। টক দই কারিগরদের ডেকে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে টক দই খেয়ে অসুস্থ রোগিদের হাসপাতালে দেখতে যাই। চিকৎসকদের পরামর্শ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//