Print Date & Time : 3 May 2025 Saturday 9:14 pm

মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য অভিযোগ উঠেছে।

ওই শিক্ষকের নাম মো. আবু সালেহ। তিনি উপজেলার কয়া চাইল্ড হিভেন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কয়া মালিথাপাড়া গ্রামের মৃত আঃ জব্বারের ছেলে।

এখবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কয়া ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও জনসাধারণ কয়া বাইতুল মামুন জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মিলিত হন। সেখানে তারা প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরিধান করতে নিষেধ করে আসছেন। এমন খবর পেয়ে গত সোমবার একজন মহিলা অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি শুনতে যান। সেসময় প্রধান শিক্ষক মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে নানান কটূক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার ঘটনাটি জানাজানি হলে বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সকাল থেকে কয়া বাইতুল মামুন জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মিলিত হন। সেখানে তারা প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে বেলা একটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।

এবিষয়ে ওই অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রিয় নবীর সুন্নাত ও চরিত্র নিয়ে নানান বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে তিনি তা মানতে পারছেন না। উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মাওলানা মো. তাহিদুল ইসলাম বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করার ধৃষ্টতা কারো নেই। প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছেন। ব্যাবস্থা গ্রহণ ও গ্রেফতারের দাবিতে প্রশাসনকে দুদিনের সময় দিয়েছেন তারা। তা না হলে আগামী শুক্রবার কঠোর আন্দোলন করবেন তারা।

কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ইসলাম ও নবী বিরোধী মন্তব্য করে আসছিলেন। থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কুমারখালী থানার ওসি বলেন, বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে ঘরে ফেরানো হয়েছে। কটুক্তিকারী ওই শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩