ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ।। ঝিনাইদহের মহেশপুরে গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বুধবার (১০ আগষ্ট) সাকলে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান।
এসময় তিনি বলেন, দেড় বছর আগে মহেশপুর উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সুলতান গরুর শিংয়ের আঘাতে আহত হয়। এরপর থেকে সে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে আসছিল। গত ৬ জুন পুরন্দরপুর গ্রামের হালিমা খাতুনের বাড়িতে সুলতান ও হালিমাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে তার দুই ছেলে রহিম ও রাসেল। রাতে ওই ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান ও পাশের ওয়ার্ডের মেম্বর আরিফুর রহমানসহ সুলতানের ভাই ফরিদ হোসেনের উপস্থিতিতে সুলতান ও হালিমার বিয়ে হয়। সকালে হালিমাকে নিয়ে সুলতান তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন বাড়িতে ঢুকতে না দিলে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে ১৩ দিন থাকার পর সুলতানের ভাই ফরিদ ও তার পরিবারের লোকজন মেনে নেওয়ার আশ^াসে গ্রামে ডেকে আনে। সেখানে মারধর করে তাদের জোর করে তালাক দেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর অসুস্থ হলে গত ২৪ জুলাই যশোরে ভর্তি করা হয় সুলতানকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ৩ তারিখে মারা যায়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে প্রতিপক্ষরা হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে নির্দোষ ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।
সুলতান অভিযোগ করে বলেন, সুলতানের লাশ বাড়িতে আনলে শুরু হয় রাজনীতি। ওই এলাকার চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, পুলিশ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আমার ভাই মিজানুরের কাছে নির্বাচনে হেরে এটিকে হত্যা মামলা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি মামলা প্রত্যহারের দাবী জানান তারা।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১০ আগষ্ট-২০২২

Discussion about this post