মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করন নিয়ে আলোচনা হতে পারে
আগামী ১ লা বাংলাদেশ সফরে আসছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মক্ত করতে দুই দেশর মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হতে পারে। ২ জুন দু’দেশের শীর্ষ নীতি নির্ধারকরা বৈঠকে বসবেন।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এর সফর উপলক্ষ্যে একটি চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে শ্রমবাজার সম্পৃক্ত একটি সংগঠন। গতকাল রবিাবর তারা বলেছে এই চক্রটি চায় না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হোক।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রীর ঢাকা সফরের আগের দিন ৩১ মে বায়রার কিছু সংখ্যক সদস্য বা রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটিকে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মিটিং ডেকেছে। এই মিটিংয়ের উদ্দেশ্য মালয়েশিয়ার মন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদেরকে অসম্মান করা। তারা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটি খোলার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এর আগেও তারা এই প্রক্রিয়ায় মিটিং-মিছিল মানব বন্ধন করে দুই সরকারের প্রচেষ্টা বানচাল করেছে। ৩১ মের মিটিংটি তাদের ১৮তম অপ-প্রচেষ্টার অংশ।
শ্রম বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, এই ধরনের মিটিং-মিছিলের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অসম্মান করা হলে শুধু মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাওয়া বন্ধ থাকবে তাই নয়, বরং যারা মালয়েশিয়ায় আছেন তাদেরও ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিবে। এরফলে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিককেও দেশে ফিরে আসার মতো বিপদের সম্মুখিন হতে পারে। সুতরাং এই ধরনের কর্মসূচী বন্ধ করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার। দেশের স্বার্থে এই শ্রমবাজারটি উন্মুক্ত এবং কর্মী পাঠানো শুরু করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সীমিত সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে, নাকি সকল এজেন্সির মাধ্যমে বাজার উন্মুক্ত হবে সেটা মূখ্য বিবেচ্য বিষয় নয়। অভিবাসী কর্মীদের জন্য বাজার উন্মুক্ত হওয়া সবচেয়ে জরুরী।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ২৯,২০২২//