গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশের নুর ইসলাম নামের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। সোমবার (১৩ জুন) সকাল ১০ ঘটিকার সময় মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম। এ সময় ভুক্তভোগী লায়েছ, শ্যামল ও তাদের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রাকিবুল ইসলাম অভিযোগ করেন ঘটনার দিন বুধবার (০৮ জুন) বিকেলে তিনি ও তার ছোট ভাই লায়েছ গাংনীর বসুন্ধরা এলাকায় ফুড সিটিতে কফি খাওয়ার জন্য বসেছিলেন। এ সময় গাংনী থানা পুলিশের এস আই নুর ইসলাম কফি হাউজের মধ্যে ঢুকে অতর্কিত ভাবে চড় থাপ্পড় মেরে তাদেরকে আটক করেন। এর কারণ জানতে চাইলে এস আই নুর ইসলাম জানান চোখতোলা থেকে ৫৬ বোতল ফেনসিডিল আটক করা হয়েছে। ওই ফেন্সিডিল পাচারের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে সেজন্য তাদেরকে আটক করা হল। এ বিষয়ে তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে থানায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা নুর ইসলাম। এ সময় তাদেরকে সাথে নিয়ে গাংনী মহিলা কলেজ পাড়ার শ্যামল নামের একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক করার সময় তাদের কাছে থাকা ১৭ হাজার ৫ শত নগদ টাকা, মোবাইল ও ১৫০ সিসি একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করেন। পরে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা নুর ইসলাম। অনেক দর কষাকষি করে গাংনী পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (বাঁশবাড়িয়া) আলমগীর হোসেন এর মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা দিয়ে মোটর সাইকেলটি ছাড়িয়ে নেন। তবে নগদ ১৭ হাজার ৫ শত টাকা ও মোবাইল অধ্যবধি ফেরত পান নাই ভুক্তভোগীরা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী শ্যামল জানান, তিনি তার গাংনী মহিলা কলেজ পাড়ার নিজ বাড়িতে টিউবওয়েলের পানি দিয়ে হাত মুখ পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় গাংনী থানা পুলিশের এসআই নুর ইসলাম তাকে আটক করে গাংনী থানায় নিয়ে আসে। পরে ফেনসিডিল মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি এ ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গাংনী থানা পুলিশের এসআই নুর ইসলাম (নুর) জানান, মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আটকের পর তার সহোদর ভাই চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের পুলিশের এসআই সাহাজুল ইসলাম রাকিবুল ইসলামকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তূলেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post