নওগাঁ প্রতিনিধি: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিনিকেট নাম দিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে চাল বিক্রি ও ছাঁটাই রোধে আইনটি ইতিমধ্যে কেবিনেট মিটিংয়ে (খসড়া) চুড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এখন সংসদে যাওয়ার অপেক্ষায়।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ‘আউশ প্রণোদনা কর্মসূচি’ আওতায় ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে এদেশের কৃষকরাই মূল ভূমিকা পালন করে। দেশে ফসল উৎপাদন হলে খাদ্যে মজুদ শক্তিশালী হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। এবারে মাত্র ১১ লাখ মেট্রিক টন সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে।এছাড়াও ওএমএস চালু করায় চালের বাজার স্থিতীশীল রয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বছরে কতটুকু সারের প্রয়োজন, কোন কোন ফসলের জন্য কতটুকু সার দরকার, সরকার সেই হিসাব করে সার কিনে। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও অর্থের যোগান দিয়ে বিদেশ থেকে বেশি দামে সার কিনে ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে হিসাব রাখতে হয় আউশ, বোরো ও আমন কতটুকু উৎপাদন হবে এবং কতটুকু ঘাটতি হবে। তাই সরকারের দেওয়া প্রণোদনার বীজ ও সারের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখুন।
অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর ,পোরশাউপজেলা চেয়ারম্যান গণ,উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ,কৃষি কর্মকর্তাগণ ও তিন উপজেলার উপকারভোগী কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post