মারফত আফ্রিদী, মিরপুরঃ
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যয় মিরপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মাধ্যমে উপজেলার ৩টি নার্সারী থেকে ৩০ হাজার ৫শ’ আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে মিরপুর জিয়া রোড সংলগ্ন সৌখিন নার্সারী, সোহাগ নার্সারী ও ভাই বোন নার্সারী থেকে এ আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হয়। আকাশমনি চারা ধ্বংসের কারণে নার্সারী মালিকদের চারা প্রতি প্রণোদনা বাবদ ৪টাকা করে মোট ৩০ হাজার ৫শ’ চারার বিনিময়ে ১লক্ষ ২২ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে কোন নার্সারীতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে এখন থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আগ্রাসী প্রজাতির গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন করতে হবে।
অন্যদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ স্থানীয় জীববৈচিত্রের জন্য হুমকি। এই প্রজাতির গাছ মাটি থেকে অত্যধিক পানি শোষণ করায় মাটির আদ্রতা কমে যায়। এছাড়া, এই গাছের পাতায় থাকা টক্সিন গোড়ায় পড়ে মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে বলে এগুলোর চারপাশে অন্য কোনো গাছ সহজে জন্মাতে পারে না এবং পোকা-মাকড় ও পাখি এই গাছে বাসা বাঁধে না। তাই এখন থেকে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ বিক্রয় বা লাগানো যাবে না। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জসিম উদ্দিন মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য //

Discussion about this post