মারফত আফ্রিদী, মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সকল ক্যাডারদের প্রত্যাহার করে অভিজ্ঞ নার্স পদায়নের এক দফা দাবিতে সারাদেশে সব সরকারি বেসরকারি হাসপাতলে ৩ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছেন নার্সরা।
তবে কর্মবিরতির বাইরে রয়েছে হাসপাতালগুলো জরুরি বিভাগ এবং আইসিইউ, সিসিইউর মত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে তাদের এই কর্মবিরতি শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, নার্সরা যার যার ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে হাসপাতালটির সামনে জড়ো হন।সেখানে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
সিনিয়র স্টাফ নার্স শাম্মী আক্তার স্বর্ণা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নার্সিং অফিসারদের মধ্যে পিএইচ ডি ধারী এম পি এইচ করা বিভিন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকা সত্ত্বেও বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছে নার্সরা।
আমাদের দাবি এক দফা নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ হতে ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ-পূর্বক উক্ত পদগুলোতে নার্সিং কর্মকর্তাদের পদায়নের ১ দফা দাবি.
১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত নার্সিং ও মিডইফারী পরিদপ্তর যেটা ছিল সেটা কিন্তু নার্সিং অফিসাররা দক্ষতা এবং বিচক্ষণতার মাধ্যমে তারা পরিচালিত করেছে।
পরবর্তীতে নার্সিং অফিসাররা চেয়েছে এবং দাবির মাধ্যমে ২০১৬ সালে আমাদের নিজস্ব অধিদপ্তর স্থাপিত হয় যেটি হচ্ছে নার্সিং ও মিডইফারী অধিদপ্তর। ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্পষ্ট লেখা আছে নার্সদের চেয়ারে নার্স বসবে দক্ষতা অনুযায়ী দক্ষ নার্স না থাকলে সেক্ষেত্রে নন নার্সিং ক্যাডার পদায়ন হবে। পরবর্তীতে দেখা যায় নার্সদের দক্ষতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কোন প্রকার কোন পদক্ষেপ ডিজিএনএম নেয় নাই। কারণ তারা সবসময় চেয়েছে আমাদের চেয়ারটা তারা দখল করে নিতে এবং বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করতে। নার্সিং অফিসাররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে গেলে মোটা অংকের টাকা সেখানে দিতে হয়। এবং বিভিন্ন সময়ে নার্সদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে এবং বদলি করার মতো হুমকি-ধামকি দেয়। এবং তাদেরকে কটুক্তি করে ক্ষান্ত হন না বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেন চাকরি থেকে অপসারণ এর জন্য।
রোগীদের স্বার্থে কর্ম বিরতির কারণ স্বাস্থ্য খাতকে আরো বেশি উন্নয়নমুখী ও রোগী সেবার মান উন্নয়ন।
১. “আমাদের এই বিরতি আপনার অধিকার রক্ষার জন্য, যেন সেবা আরও উন্নত হয়।”
২. “এই বিরতি আপনাদের সুস্থতার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার একটি অংশ।”
৩. “আমরা আপনাদের জন্য ভালো সেবা নিশ্চিত করতে আজ একসাথে দাঁড়িয়েছি।”
৪. “আপনাদের সুরক্ষা ও যত্নের মান উন্নত করতে আমাদের এই পদক্ষেপ।”
৫. “আমরা আজ বিরতিতে, যাতে আগামীকাল আপনাদের আরও ভালোভাবে সেবা দিতে পারি।”
এই বাক্যগুলো রোগীদের বুঝতে সহায়ক হবে যে, কর্ম বিরতির মাধ্যমে কর্মীরা তাদের সেবার মান উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করছে।
হা/01/1024 dtbangla