মিরপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা \ কুষ্টিয়ার মিরপুরে প্রভাবশালী একটি মহল গ্রামীণ সড়কের ২টি কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে দেয়ায় কয়েকটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবার গুলো জলাবন্ধতা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলার বারুপাড়া ইউনিয়নের গৌড়দহ এবং ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কামাড়পাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে এলজিইডি’র একটি গ্রামীণ পাকা সড়ক রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়কে পর পর দু’টি কালর্ভাটও নির্মিত হয়। কালর্ভাট দু’টির কামাড়পাড়া অংশের মুখ ওই গ্রামের মৃত ওমর আলী মন্ডলের ছেলে মিরপুর নাজমুল উলুম সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক সাইদুর রহমান, মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে আবু সাঈদ বন্ধ করে দেয়। ফলে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে গৌড়দহ গ্রামের প্রায় ১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। গ্রামবাসী জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এ ব্যাপারে গৌড়দহ গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে এনামুল হক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ জনপ্রতিনিধিদের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি এনামুল হক বলেন, এলাকার এক প্রভাবশালী শিক্ষক দ্বারা কালর্ভাট দু’টি মুখ বন্ধ করায় আমারা প্রায় ১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। জলাবদ্ধতা থেকে দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় বসবাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘœ হচ্ছে।
সাইদুর রহমান বলেন, এলাকাবাসী জিকরে পানি প্রবাহের ক্যানালের একাধিকস্থানে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে মাছ চাষ করছে। ফলে ক্যানালের পানিসহ ওই কালর্ভাটের পানিতে আমার পুকুড়ের বাঁধ ও মাছ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ জন্য আমি কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে দিয়েছি। যারা জিকে ক্যানালের বিভিন্নস্থানে বন্ধ করে রেখেছে তারা ওই সকল মুখ খুলে দিলে আমিও জনস্বার্থে কালর্ভাটের মুখ খুলে দিবো।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হারুন অর রশিদ বলেন আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে অভিযোগের সত্যতা পাই। যিনি কালর্ভাটের মুখবন্ধ করে দখল করেছেন তিনি একজন কলেজ শিক্ষক। তার পেশার প্রতি সম্মান দেখিয়ে একটা সয়য় নির্ধারণ করে নির্দ্দষ্ট সময়ের মধ্যে কালর্ভাটের মুখ খুলে দেয়ার নিদেশ প্রদান করি। সে কালর্ভাটের মুখ খুলে না দিলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, ভুক্তভোগি পরিবার গুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে জনস্বার্থে যা করার সেটাই করা হবে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১ আগষ্ট-২০২২//

Discussion about this post