Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 1:40 pm

মিরপুরে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে আশ্রায়ণ প্রকল্প নির্মাণ

মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি ।। কুষ্টিয়ার মিরপুরে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে জমির মালিকানা দাবী করে উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বীজনগর গ্রামের মৃত গোলাম মন্ডলের ছেলে আতর আলী দিং আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং মিস আপীল ৫১/২২।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিশন গঠন করেন।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর)  দিনব্যাপী আদালত কর্তৃক গঠিত এক সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের কমিশনার অ্যাড. মোসলেম উদ্দিন সর্দ্দার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।

এ সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হারুন অর রশিদ, ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. তাপস কুমার কুন্ডু, বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হাফিজুর রহমানসহ ভুমির মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায় উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বীজনগর গ্রামের মৃত গোলাম মন্ডলের ছেলে আতর আলী দিং এর মালিকানা ১৩ একর ৮৯ শতাংশ জমি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত করে সরকারি আশ্রায়ণ প্রকল্পের গৃহনির্মাণ কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হাফিজুর রহমান বলেন, সিএস ২৬০ খতিয়অনের জমির পরিমান ১৩ একর ৮৯ শতাংশ। উক্ত জমির মধ্যে এসএ ৩৩০ খতিয়ানের রেকডিও প্রজা আব্দুল আজিজের মাতা সাবিরন নেছার নামে সিএস ২৬০ খতিয়ানের ২ আনা ১৩ গন্ডা, ১ কড়া ১ ক্রান্তি অংশ ২ একর ৩২ শতাংশ সম্পত্তির মালিক। বিগত এসএ রেকড আমলে ভুলক্রমে সমুদয় (১৩ একর ৮৯ শতাংশ) সম্পত্তি সিএস প্রজা সাবিরন নেছার ওয়ারেশ আব্দুল আজিজরে নামে রেকড ভুক্ত হয়। উপরোক্ত নং মোকাদ্দমার মুল দেওয়ানী ৫৭/২২ নং মোকাদ্দমার বাদী পূর্বাধীকারীগণ কুষ্টিয়ার প্রথম মুনছুপি আদালতে দেওয়ানী ২৪৪/৭৪ মোকাদ্দমা দায়ে করিয়া ইতি পূর্বে প্রাথমিক ডিগ্রী ও সরেজমিনে মাপযোগান্তে চুড়ান্ত ডিগ্রী প্রাপ্ত হয়েছেন। উক্ত রায় ডিগ্রী বুনিয়াদে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস হতে নামজমা খারিজ পূর্বক সরকারী সেরেস্তায় খাজনাদি প্রদানের স্বত্তবান দখলকার আছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রায়ণ প্রকল্পের নামে মালিকানা সম্পত্তিতে অবৈধ ও জোরপূর্বক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না রেখে এবং আব্দুল আজিজরে সম্পত্তি নিরপোণ না করে গরীব অহসায় ব্যক্তিদের জমির উপর স্থাপন তৈরি করে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী প্রদর্শন করছেন। এতে উক্ত এলাকার জনসাধারণ আইন ও আদালতের প্রতি অসহায়াত্ব এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এ জন্য আদালত সরেজমিন তদন্তের জন্য কমিশন গঠন করেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী আতর আলী বলেন, জমি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় একটি মহল প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে ব্যক্তিমালিকানা জমিতে সরকারি আশ্রায়ণের ঘর বানিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হারুন অর রশিদ বলেন এটা ১ নং খাস খতিয়ানের জমি তাতে কোন সন্দেহ নেই। আরএস খতিয়ান মুলে ব্যক্তির স্যারেন্ডারকৃত সম্পত্তি। এ ব্যাপারে জমির মালিকানা দাবী করে তারা ইনজাংশান জন্য আদালতে আবেদন করে। আদালতের রায় তাদের বিপক্ষে যাওয়ায় তারা পুনারায় ইনজাংশানের জন্য আপিল করেন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রায়ণকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলে তিনি জানান।

আর//দৈনিক দেশতথ্য//৩ সেপ্টেম্বর-২০২২