জাহিদ হাসান:
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নওদা খাড়ারা নজরুল করিমের ছেলে কর্তৃক পূর্বের মামলা তুলে না নেওয়ায় আসামিরা বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে মিরপুর থানায় অভিযোগ করেও কোন সমাধান পাচ্ছে না ভুক্তভোগী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩রা মে নওদা খাড়ারা গ্রামের নজরুল করিমের ছেলে তানভীর আহমেদ পাভেল (২৯) কে শুকুর মালিথার ছেলে সুজন, মৃত জিনাতের ছেলে আব্দুল গফুর, মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে ইসলামুল এবং ইসলামুলের ছেলে আলিম দ্বারা হামলার শিকার হয়। এ বিষয়ে তারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যা চলমান রয়েছে।
নজরুল করিম জানান, গত ৩রা মে-২০২৫ তারিখ সকাল সাড়ে ৮ টায় আমার ছেলে তানভীর আহমেদ পাভেল বাড়াদী সরকারী প্রাইমারি স্কুলের সামনে পৌঁছালে উক্ত আসামিরা আমার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা জখম করে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় আমার ছেলে তানভীর আহমেদ মিরপুর থানায় এজাহার দায়ের করিলে মিরপুর থানার মামলা নং- ০৮, তারিখ-০৬/০৫/২০২৫ ইং, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। উক্ত মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় মামলার আসামীগণ মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় পরিবারের ব্যক্তিদের হুমকি প্রদান করতে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৭ই সেপ্টেম্বর-২০২৫ তারিখ রাত ০৩.৪৫ টায় মিরপুর থানাধীন নওদা খাড়ারা স্কুলপাড়াস্থ আমার বসতবাড়ীর পূর্ব পার্শ্বের গোয়াল ঘরের বেড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়। যাহার ফলে আমার বসতবাড়ীর কিছু অংশ ও গোয়াল ঘর সম্পূর্ণ আগুনে পুড়ে যায়। এতে আনুমানিক ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকার ক্ষতিসাধন হয়। বিষয়টি মিরপুর থানাকে অবহিত করেও কোন সমাধান পায়নি। সুতরাং আমার পরিবার প্রাণনাশ সহ বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনায় রয়েছে।
আসফাকি আজম বিশু (মেম্বার) জানান, ০৭ই সেপ্টেম্বর নজরুলের বাড়ির গোয়াল ঘরে থাকা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে শুনেছি। নজরুল করিমের সাথে তার প্রতিবেশীর পূর্বে দ্বন্ধ ছিল।
মিরপুর থানার এসআই এলিস মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি এবং প্রতিবেশীরা জানান সুজনের সাথে দ্বন্দ্ব থাকলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা সহযোগিতা করে। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে।

Discussion about this post