মারফত আফ্রিদী, মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার মিরপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) ভোরে উপজেলার বিজিবি সেক্টরপাড়ায় তার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিকের নাম ফিরোজ আহমেদ (৬০)। তিনি স্থানীয় দৈনিক আজকের সূত্রপাত পত্রিকায় কাজ করেন। এছাড়াও তিনি মিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক। এর পাশাপাশি আলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে আছেন ফিরোজ আহমেদ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গেল দুই সপ্তাহ আগে ফিরোজ আহমেদের নাতি ছেলে ও প্রতিবেশী মিলনের ছেলে খেলাধুলা করার সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি পরে অভিভাবক দ্বন্দে পর্যন্ত পৌছায়। এঘটনার জেরে সোমবার ভোর রাতে স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ফিরোজ আহমেদের উপর হামলা চালায় প্রতিবেশী মিলন ও তার লোকজন। এসময় হাতুড়ী, ইট ও লোহার রড দিয়ে ফিরোজের মাথা, পা, হাত সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফিরোজকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিলন সহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন। তাছাড়া শরীরের অন্যান্য স্থানেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী বলেন, সাংবাদিক ফিরোজ আহমেদ মিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক আজকের সুত্রপাত পত্রিকার মিরপুর প্রতিনিধি। একজন সাংবাদিকের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সেই সাথে হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দেওয়া হবে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Discussion about this post