মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা :
গরুর খামারে ভাইরাস জনিত অজ্ঞাত রোগে আধ ঘন্টার ব্যবধানে সাত গরুর রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর খামারী ও কৃষকদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে বলেছেন, সাত গরুর মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখ জনক। কারন বের করতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়পুর গ্রামের প্রবাসি আমিনুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ শনিবার (১৪ মে) খামারীর মালিক প্রবাসি আমিনুর রহমানের স্ত্রী ইলা বেগম (৪০)সহ বাড়ির লোকজন জানায়, বিভিন্ন এনজিওর ঋণ এবং ধার কর্জ করে নিজ বাড়িতে ছোট একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন। তার খামারে ১০ টি গরু ছিল। গতকাল শুক্রবার (১৩ মে) রাতে খামারের একটি দুধের গরু (গাভী) অসুস্থ্য হয়ে পরে। সকালে গাভীটি মারা যায়। আধ ঘন্টার ব্যবধানে একে একে আরও ছয়টি গরুর মৃত্যু হলে ইলা বেগমের বাড়িতে এবং এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। সাত গরুর মৃত্যুতে তার খামারে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ইলা বেগম জানিয়েছে। হঠাৎ করে অজ্ঞাত রোগে সাত গরুর মৃত্যুর ঘটনায় ইলা বেগম ঋণে জর্জরিত হয়ে চরম বিপাকে পরেছেন। তিনি ঘটনাটি উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগকে জানান।
এদিকে আজ শুক্রবার উপজেলা প্রাণী অধিদপ্তরের মির্জাপুর অফিসের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম মিয়া, চেকনিশিয়ান কমল, আলীম এবং অফিস সহকারী মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কি কারনে গরুর মৃত্যু হয়েছে তার কারন খুঁজতে নমুনা সংগ্রহ করে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তারা ধারনা করছেন, ভাইরাস জনিত এ্যানথ্রাক্স রোগ বা বৃষ্টির কারনে ঘাসের মধ্যে নাইট্রিক এসিডের কারনে অসুস্থ হয়ে গরুর মৃত্যু হতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ সুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধারনা করা হচ্ছে বৃষ্টিতে ঘাসের মধ্যে নাইট্রিক এসিড হওয়ার কারনে গরুর মৃত্যু হতে পারে । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে সরকারী বিধি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারকে ক্ষতি পুরন দেওয় হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post