টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা সদরে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ মোটর সাইকেল পার্কিং করায় ঘন্টার পর ঘন্টা তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পৌরসিকে।
ফুটপাত দুখল মুক্ত ও অবৈধ অটো রিকসা চলাচল বন্ধ করার জন্য পৌরসভার মেয়র এবং মির্জাপুর থানার ওসির মাইকিং করার পরও অবৈধ পার্কিং বন্ধ হচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসির দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ( ১ জুন) উপজেলা সদরের পৌরসভার মসজিদ মার্কেট, কালিবাড়ি রোড এবং কলেজ রোডে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার উপর অবৈধ মোটর সাইকেল পার্কিং রাখার দৃশ্য।
পৌরসভা সুত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলা সদরের পৌরসভার অতি গুরুত্বপুর্ন ও ব্যস্ততম তিনটি রোড হচ্ছে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কালিবাড়ি রোড হয়ে কুমুদিনী হাসপাতাল রোড, কলেজ রোড হয়ে খাদ্য গুদাম রোড এবং বংশাই রোড হয়ে বাইপাস রোড। গুরুত্বপুর্ন এই তিনটি রাস্তা দখল করে মোটর সাইকেল পার্কিং চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। রাস্তার উপর মোটর সাইকেল পার্কিং করে রাখায় দুই দিক ধেকে আসা ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন এবং রিকসা চলচল করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা তীব্র যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। নিয়ম কানুন না মেনেই রাস্তার উপর মোর সাইকেল দাড় করিয়ে রাখায় তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে পৌরবাসিসহ চলচলকারী যাত্রীদের। রাস্তা দখল করে মোটর সাইকেল পার্কিং করার পাশাপাশি একটি প্রভাবশালী মহল নানা কৌশলে ভাসমান দোকান পাট স্থাপন করায় তীব্র যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। একই অবস্থা পৌরসভার বংশাই রোড, বাওয়ার রোড, থানা রোড, কলেজ রোড, কালিবাড়ি রোড, পুরাতন বাস স্টেশন রোডে। একাধিক ভুক্তভোগি অভিযোগ করেন, পৌরসভার রাস্তায় পুলিশের বিধি নিষেধ এবং প্রশাসনের নজরদারী কম থাকায় রাস্তার উপর অবৈধ মোটর সাইকেল পার্কিং চলছে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে যারা অবৈধ ভাবে মোটর সাইকেল পার্কিং করে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন পৌরসভা এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে মির্জাপুর থানায় জরুরী সভা করে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে রাস্তা ও ফুটপাত দখল মুক্ত করার জন্য। অভিযান শুরু হয়েছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, পৌরসভার রাস্তার উপর যারা অবৈধ ভাবে মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবহান পার্কিং করে জনগনের চলচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে তাদরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে জরুর ী সভা করে সকলেল সহযোগিতা ও পরামর্শে মাইকিং করা হয়েছে। যারা নির্দেশ অমান্য করবে তাদরে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিাসর মো. হাফিজুর রহমান বলেন, যাানজট মুক্ত শহর গড়ার জন্য স্থানীয় এমপি, পৌর মেয়র, ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিধিদের সমন্ময় করে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমদ্যে পৌরসভা এবং মির্জাপুর থানা মাইকিং করেছেন রাস্তা ও ফুটপাত দখল মুক্ত করার জন্য। অচিরেই কঠোর ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১ জুন-২০২২//

Discussion about this post