মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
ঈদের আগে প্রধান মন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমিসহ পাকা ঘর পেলেন ভুমিহীন ১৮ জন গৃহহীন পরিবার। ইতিপুর্বে জমিসহ পাকা ঘর পেয়েছেন ৩৩৭ জন অসহায় ভুমিহীন পরিবার। আজ মঙ্গলবার ( ২৬ এপ্রিল ) মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘর উদ্ধোধন করবেন। এ উপলক্ষে সকাল সারে দশটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক ও বাংলাদেশ সমবায় ফেডারেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল প্রমুখ। পরে ১৮ জন ভুমিহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান জানান, তৃতীয় ধাপে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ১৫ জন ভুমিহীন পরিবার এবং বানাইল ইউনিয়নে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৩ জন ভুমিহীন পরিবারকে জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় যাদের জমি ও ঘর নেই গৃহ নির্মান কার্যক্রম সহায়ক হিসেবে মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নের ৩৩৭ জন অসহায় ভুমিহীন পরিবারকে বিনামুল্যে দুই শতক জমি, একটি করে পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য নির্মান ব্যয় হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। নলকুপের পানি, টিউওবয়েল ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাদের জন্য। উপজেলার মহেড়া, জামুর্কি, বানাইল, আনাইতারা, ভাতগ্রাম, বহুরিয়া, ভাওড়া, লতিফপুর, আজগানা, বাঁশতৈল, ওয়ার্শি ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৮ একর সরকারী খাস জমিতে আশ্রয়ন কেন্দ্রে ৩৩৭ জন গৃহহীন পরিবারকে জমি ও পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে। গৃহহীন এসব অসহায় পরিবারগুলো আশ্রয়ন কেন্দ্রে খুব ভাল ভাবেই আছেন।
আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই পাওয়া আছমা খাতুন, কমলা বেগমসসহ অনেকেই বলেন, একটি ঘরের অভাবে রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়-তুফানের মধ্যে অনেক কষ্ট করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। আমাদের অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর কেউ রাখেননি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। জমি, পাকা ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। জমিতে সবজি রোপন করেছি। আমাদরে সন্তানেরা পড়ালেখা করছে। সারা জীবন আমরা তাদের কাছে ঋণী। এখন আর আমাদের কষ্ট করতে হবে না।
এ ব্যাপারে ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় মির্জাপুর উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতয়ি ধাপে ৩৩৭ জন ভুমিহীন অসহায় পরিবার জমি ও পাকা ঘর পেছেন। তৃতীয় ধাপে পেলেন ১৮ জন ভুমিহীন পরিবার। উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সম্মনয় করে সুষ্ঠুভাবে ঘরগুলো বন্টন করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ও জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি আশ্রয়ীন পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর নির্মান করে দেবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে ভুমিহীনদের তালিকা প্রনয়ন করে আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জমিসহ পাকাঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও গ্রহহীন পরিবারের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের বিনামুল্যে জমিসহ পাকা ঘর উপহার দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্প তৃতীয় ধাপে যারা জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন এগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করেছেন।

Discussion about this post