মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
আসছে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় সাত হাজার কোরবানীর পশু।
ব্যক্তি উদ্যোগে লালিত পালিত দেশীয় প্রজাতির ভাল মানের ষাঁড় এবং বিভিন্ন খামারেও দেশীয় প্রজাতির এবং বিদেশী জাতের ষাঁড় রয়েছে। এ বছর ভাল দাম পাবার আশা করছেন খামারী এবং গৃহস্থ্যরা। ইতিমধ্যে হাট বাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানী পশু বেচাকেনা।
আজ সোমবার (১২ জুন) উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানায়, এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় চয় হাজার। এর মধ্যে ষাঁড় ৪ হাজার ১১৭, বলদ ৩৭০, গাভী ৪৮০, মহিষ ৫০, ছাগল ৭৯৪, ভেড়া ১৮৪। বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে চাহিদার চেয়ে বেশী পশু প্রস্তুত হয়েছে। এলাকায় দেশীয় প্রজাতির বেশী ষাঁড় রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন খামারে ফ্রিজিয়ান, ক্রস, বাহামা, আমেরিকান, নেপালি ও সিন্দি জাতের ষাঁড়, বলদ এবং গাভী রয়েছে। কয়েকজন খামারী জানান, গত বছর পশু বিক্রি করে খামারী ও বেপারীগন লাভ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ বছর নানা কারনে পশুর খাবারের দাম বৃদ্ধির কারনে পশু প্রস্তুত করতে তাদের খরচ বেড়েছে। খামারে ভাল মানের পশু প্রস্তুত করেছেন। ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের একটি ষাঁড় এবং বলদ ৭০ হাজার টাকা থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
অপর দিকে টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট রয়েছে মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা এবং কাইতলা। এই দুটি হাটে কোরবানীর পশু বেচাকেনা এখনও জমে উঠেনি। দুই এক দিনের মধ্যে বেচাকেনা জমজমাট হবে বলে বেপারি ও হাটের ইজারাদারগন জানিয়েছেন। প্রাণী সম্পদ অফিস জানিয়েছে পশু পরীক্ষার জন্য প্রতিটি হাটে ভ্যাটেনারী থাকবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. মো. শুভাশিষ কর্মকার বলেন, এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় সাত হাজার। বিভিন্ন খামার এবং ব্যক্তি উদ্যোগে চাহিদার চেয়ে বেশী পশু প্রস্তুত হয়েছে। এলাকায় দেশীয় প্রজাতির বেশী ষাঁড় ও বলদ রয়েছে। খামারী ও কৃষকদের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এলাকায় এবছর কোরবানীর পশুর চাদিা মিটিয়ে জেলার অন্যত্রও পশু বিক্রি হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//