মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১১ নং আজগানা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই বারের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মো. রফিকুর ইসলাম সিকদার এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহৃত রাখতে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে মনোয়নের দাবী জানিয়েছেন আজগানা ইউনিয়নবাসি। আজ শনিবার আজগানা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পথসভা ও কর্মী সভায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারন ভোটারগন তাকে নৌকা প্রতিকে মনোয়নের জন্য এ দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম সিকদারের পিতার নাম মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ সিকদার। আজিজ সিকদার ছিলেন ১১ নং আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এই পরিবারের নের্তৃত্বে আজগানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠন শক্তিশালী হয় বলে জানা গেছে। রফিকুল ইসলাম সিকদার ছাত্রজীবনে বংশই স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি এবং পরে আজগানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার কর্মদক্ষতায় ছাত্রলীগ থেকে আজগানা ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে মির্জাপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কলেজ জীবনের পর গত ১৮ বছর ধরে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ দিকে স্বাধীনতার পর থেকেই আজগানা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানের পদ ছিল দীর্ঘ দিন বিএনপির দখলে ছিল। ২০১২ সালে বিএনপির দুর্গকে ভেঙ্গে দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে আওয়ামীলীগের ব্যানারে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় উন্নয়নের কাজে নামেন রফিকুল ইসলাম সিকদার। ২০১৭ সালে উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের নের্তৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মনোয়ন বোর্ড রফিকুল ইসলাম সিকদারকে আজগানা ইউনিয়নে পুনরায় নৌকা প্রতিক দিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোয়ন দেন। ঐ নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিজ ইউনিয়নে উন্নয়ন ও সেবা মুলক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পুরষ্কার লাভ করেন বলে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। অপর দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৬ ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন, একটি চক্র নিজেদের স্বার্থের জন্য এলাকায় আওয়ামীলীগের গ্রহনযোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের অবমুল্যায়ন করে বিতর্কিতদের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মনোয়ন দেওয়া হলে ভরাডুবির সম্ভাবনাই বেশী বলে ধারনা করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এবং মনোয়ন বোর্ড বিষয়টি দেখবেন বলে নেতাকর্মী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ও আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, আসছে ১৫ জুন মির্জাপুর উপজেলার আজগানা, তরফপুর, লতিফপুর, বহুরিয়া, ভাওড়া ও ফতেপুর এই ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজগানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেশ কয়েকজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকার মনোয়ন প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন আমি মুলত আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। আমার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা। ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলার আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর সঙ্গে আমার ও আমার পরিবারের অত্যান্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় দুই বার আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত আজগানা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাদক ব্যবসা নির্মুলসহ সার্বিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করছি আসছে ১৫ জুনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কান্ডারী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং মনোনয়ন বোর্ড এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহৃত রাখতে আমাকে পুনরায় নৌকার মাঝি হিসেবে মনোয়ন দিবেন বরে আমার বিশ^াস। আমাকে মনোয়ন দিলে অবশ্যই বিপুল ভোটের ব্যবধানে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারবো। এলাকার জনগন আমার পাশে আছে এবং থাকবে বলে ঘোষনা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আজগানা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোক্তার আলী সিদ্দিকী বলেন, আজগানা ইউনয়ন আওয়ামীলীগের জন্য একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ বছর চেয়ারম্যান পদেকয়েকজন প্রার্থী হয়েছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহৃত রাখতে যোগ্য হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যানকে নৌকার মনোয়ন দেওয়া হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হতে পারবেন বলে আমাদের বিশ^াস।

Print Date & Time : 4 July 2025 Friday 3:43 pm