মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনটি কলেজ শতভাগ পাশসহ ১০ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১২ জন পরীক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষায় এই প্রথম বারের মত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ায় উচ্ছসিত শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীগন। শতভাগ করেছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, আলহাজ¦ শফি উদ্দিন মিঞা এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজ এবং নারী জাগরণের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী ভারতেশ^রী হোমস।
আজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্র জানায়, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ৫৪ জন ক্যাডেট পরীক্ষা দিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার শতভাগ। আলহাজ¦ শফিউদ্দিন মিঞা এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ৯৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। পাশের হার শতভাগ। নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ^রী হোমস থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৫১ জন। পাশ করেছে শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন। রাজারবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৪২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন। পাশ করেছে ৪১৪ জন। পাশের হার ৯৬ দশমিক ৭৩। মির্জাপুর সরকারি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৮৮৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬ জন। পাশ করেছে ৮৭৪ জন। পাশের হার ৯৪ দশমিক ৪২। মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২০৭ জন। পাশ করেছে ১৯৪ জন। পাশের হার ৯৩ দশমিক ৭২। বাঁশতৈল খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ৪৭৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ০১ জন। পাশ করেছে ৪৪৯ জন। পাশের হার ৯৪ দশমিক ১৩। কদিমধল্যা ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১৩১ জন। পাশ করেছে ১১২ জন। পাশের হার ৮৫ দশমিক ৮০। ওয়ার্শি নতুন কহেলা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১৬৩ জন। পাশ করেছে ১৩৩ জন। পাশের হার ৮১ দশমিক ৬০। সাটিয়াচড়া ছাফদার আলী কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১১৪ জন। পাশ করেছে ১০৬ জন। পাশের হার ৯২ দশমিক ৯৮।
এ ব্যাপারে রাজাবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মফিজুর রহমান স্বপন বলেন, গত দুই বছর মহামারী করোনার শিক্ষার্থীদের স্বাস্ত্য সুরক্ষার জন্য অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী নির্দেশনায় বন্ধ ছিল। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার জন্য। অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটির সসদস্যবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় ফলাফল সন্তোষ জনক হয়েছে। আগামীতে এই পরীক্ষার ধারাবাহিক ফলাফল যেন ধরে রাখতে পারি সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, মহামারী করোনার সংক্রমনসহ নানা কারনে শিক্ষার্থীগন নিয়মিত ক্লাস করতে পারেনি। তারপরও সব দিক বিবেচনা করে মির্জাপুর উপজেহলায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার সার্বিক ফলাফল অত্যান্ত ভাল হয়েছে। সকলের জন্য শুভ কামনা এবং এই ধারাবাহিক ফলাফল ধরে রাখতে হবে তারা জানিয়েছেন।

Discussion about this post