মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহরের অলি-গলি থেকে শুরু করে গ্রামের পথে প্রান্তর ও জনপথে কৃষ্ণ চুড়ার লাল টকটকে রুলে সাজিয়ে তুলেছে। কৃষ্ণ চুড়ার এই লাল রং পথচারীকে আকৃষ্ট করে তুলেছে।
আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) উপজেলার কয়েকটি এলাকয় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কৃষ্ণ চুড়ার লাল টকটকে ফুল অলি-গলি ও গ্রামের মেঠো জনপথকে নতুন সাজে সাজিয়ে রেখেছে।
মির্জাপুর পৌরসভার উপজেলা পরিষদ চত্তর, কুমুদিনী হাসপাতাল রোড, বংশাই নদীর ঘাট, কুমুদিনী কমপ্লেক্্র, জামুর্কি নবাব স্যার আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, পাকুল্যা জমিদার বাড়ি, মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার (পিটিসি), টাঙ্গাইল কটন মিলস, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও উত্তর পেকুয়া জাগরনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের কৃষ্ণ চুড়ার লাল টকটকে ফুল পথচারীদের আকৃষ্ট করে তুলেছে। এছাড়া বিভিন্ন রাস্তাঘাটের দুই পাশেও দেখা মিলছে লাল ফুলের সমারোহ।
মির্জাপুর উপজেলার বরাটী নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিজ্ঞানের শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকমো. জুলহাস উদ্দিন জানান, কৃষ্ণ চুড়া মুলত আফ্রিকার মাদাগাস্কার ফুল গাছ। এটি সম্ভবত ১৮২৪ সালে সেখান থেকে প্রথমে মুরিটাস ও ইংল্যান্ড এবং দক্ষিন পুর্ব এশিয়ায় বিস্তার লাভ করে। কৃষ্ণ চুড়া গাছ দেখতে অত্যান্ত সুন্দর ও পরিবেশ বান্ধব। বৃক্ষ প্রেমিরা কৃষ্ণ চুড়ার ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকেন।
টাঙ্গাইল বন বিভাগের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল রেঞ্জ অফিসের অধিনে বংশীনগর অফিসের বিট কর্মকর্তা মো. রুমি জামান ও হাটুভাঙ্গা অফিসের বিট কর্মকর্তা রতন সরকার কলেন, বন বিভাগের আশপাশে কৃষ্ণ চুড়া গাছ শোভা বর্ধনকারী একটি বৃক্ষ। গাছটি পরিবেশ বান্ধব, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া কৃষ্ণ চুড়া গাছ মাটির ক্ষয়রোধ করে থাকে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post