মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
এলজিইডির অধিনে এমপির নির্দেশের পরও ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা-গেড়ামারা-ধামরাই রোডে বহুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর গেরামারা গ্রামে খালের উপর পাকা ব্রিজ না হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিন উপজেলাবাসির চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর হলো নরবরে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন পারাপার হচ্ছে। এ নিয়ে চরম ভাবে এলাকাবাসি ক্ষুদ্ধ।
এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. আবু সাইদ মিয়া ছাদু, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খোকন, এমপির একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসির চলচলের দুর্ভোগ দেখে এমপি দ্রুত সময়ের মধ্যে খালের উপর ব্রিজ নির্মানের কাজ শূরু করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন। উপজেলা প্রকৌশল অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, গেরামারা গ্রামের খালের উপর ৪০ মিটার একটি পাকা ব্রিজ নির্মানের জন্য জন্য প্রায় চার কোটি টাকার দরপত্র আবহান করা হয়েছিল। একটি ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছেন। আশা করা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্য্যে কাজ শুরু করে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দেওহাটা-গোরামারা-ধামরাই রোডে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এলাকাবাসির দুর্ভোগের চিত্র। উক্ত খালের উপর পাকা ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় কৃষি নির্ভর এলাকাবাসি উৎপাদিত ফসলের নায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গেরামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নিউটোন গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি মো. রেজাউল করিম বাবুল এবং হংকংক শাখার আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং মির্জাপুর উপজেরা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শিল্পপতি আবুল কালাম আজাদ লিটন জানান, রাজধানী ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের সহজ রাস্তা হচ্ছে দেওহাটা-গেরামারা-ধামরাই রোড। গুরুত্বপুর্ন এই রাস্তার আশপাশে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য উপ কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। মির্জাপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর গেরামারা গ্রামের খালের উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মানের দাবী এলাকাবাসির দীর্ঘ দিনের। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পাকা ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় তিন উপজেলাবাসি সরাসরি যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন। এলাকাবাসির চাঁদার টাকা নরবরে বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনের উপর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। একটি পাকা ব্রিজ নির্মানের জন্য এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও এলজিইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। এলাকাবাসির পক্ষে সাবেক ছাত্র নেতা মো. মামুনুর রশিদ ও সুজন মিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মানের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, নির্মান সামগ্রীর দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি এবং দীর্ঘ স্থায়ী বন্যার পানির কারনে ব্রিজ নির্মানে বিলম্ব হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে কিছু কিছুর মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উত্তর গোরামারা গ্রামের খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাকো এলাকা পরিদর্শন করে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যায়ে ৪০ মিটার পাকা ব্রিজ নির্মানের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন। আশা করা হচ্ছে ব্রিজ নির্মান শুরু হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post