Print Date & Time : 22 July 2025 Tuesday 1:21 pm

মির্জাপুরের এক প্রধান শিক্ষককে অপসারনের দাবীতে মানব বন্ধন



নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গ্রামটিয়া এস সি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দ্র মোহন বিশ^াসকে অপসারন ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসি।

শনিবার (১১ জুন) বিকেলে গ্রামটিয়া এস সি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসুচী পালন করা হয়।
আজ রবিবার (১২ জুন)ভুক্তভোগিদের মধ্যে পরিতোষ, বাবু সরকার, রনজিৎ সরকার, কুমার সরকার, দীপক চৌধুরী ও মাখনসহ শতাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, চন্দ্র মোহন বিশ^াস বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, ম্যানেজিং কমিটি গঠনে নানা অনিয়ম, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন ফান্ডের টাকা আতœসাতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। তিনি এলাকায় না থেকে টাঙ্গাইল শহরে আলিশান বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ইতিপুর্বে তার বিরুদ্ধে একাধিক বিচার শালিসও হয়েছে।

গত মে মাসে গ্রামাটিয়া গ্রামের পরিতোষ নামে এক যুবককে দপ্তরী পদে নিয়োগ দেবেন বলে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এভাবে এলাকার আরও কয়েক জনের নিকট থেকে ১৫-২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও তাদের নিয়োগ দিচ্ছেন না। অনিয়ম ফাঁস হলে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহীম মিয়ার অনুরোধে নিয়োগ বাতিল করেছেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি পরিতোষ প্রধান শিক্ষক চন্দ্র মোহন বিশ^াসকে অভিযুক্ত করে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তদন্ত করছেন মির্জাপুর থানায় এসআই নিজাম উদ্দিন। টাকা উদ্ধার এবং প্রধান শিক্ষককে অপসারনসহ দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেওয়া না হলে এলাকাবাসি কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা দিবে বলে মানব বন্ধনে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক চন্দ্র মোহন বিশ^াসের সঙ্গে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরে তার স্ত্রীকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান। সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মচারী নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ হয়েছে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জাপুর থানার এসআই মো. নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করছেন পুলিশ। অভিযুক্ত প্রমানিত হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য //জুন ১২,২০২২//