মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
আশ্রয়নের অধিকার প্রধান মন্ত্রীর অঙ্গিকার এই শ্লোগান নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে ৪৮ জন ও চতুর্থ ধাপে ৬৪ জনসহ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন ভুমিহীন ১২২ পরিবার।
স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্ময় করে উপজেলা প্রশাসন স্বচ্ছতার সঙ্গে যাচাই বাছাই করে বিনামুল্যে জমিসহ ঘরগুলো বিতরণ করছেন।
আগামী (২২ মার্চ) মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে ১১২ পরিবারের মাঝে এ ঘর উদ্বােধন করবেন। এর আগে প্রথম ও দ্ধিতীয় ধাপে জমিসহ পাকা ঘর পেয়েছেন ৩৩৭ পরিবার। মোট পেয়েছে ৪৫০ পরিবার। এ উপলক্ষে মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন। ঐ দিন সকাল সারে দশটায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলাা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ এবং সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার মো. তাহরীম হোসেন সীমান্ত উপস্থিত থাকবেন।
আজ রবিবার (১৯ মার্চ) মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান জানান, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পে আশ্রয়ন প্রকল্প- তৃতীয় ধাপে ৪৮ জন ও চতুর্থ ধাপে ৬৪ জনসহ ১১২ অসহায় দরিদ্র পরিবারকে মাথা গোজার মত জমিসহ পাকতা ঘর দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে ভুমিহীনদের তালিকা প্রনয়ন করে আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জমিসহ পাকাঘর নির্মান করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও গ্রহহীন পরিবারের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের বিনামুল্যে জমিসহ পাকা ঘর উপহার দেওয়া হবে।
আগামী বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্প তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে যারা জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন এগুলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় মির্জাপুর উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতয়ি ধাপে ৪৫০ জন ভুমিহীন অসহায় পরিবার জমি ও পাকা ঘর পেছেন। উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে ঘরগুলো বন্টন করে দিয়েছেন। বর্তমান সরকার ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি আশ্রয়ীন পরিবারকে বসবাসের জন্য ঘর নির্মান করে দেবেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post