মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা:
মির্জাপুর উপজেলায় দিগন্ত জুড়ে সরিষা ক্ষেতে হলুদ ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ক্ষেতের পাশে চলছে মধু আহরন। দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের হলুদের সুভাষ নিতে এবং সরিষা ক্ষেতের আশে মধূ আহরনের দৃশ্য দেখতে প্রকৃতি প্রেমিরা ছুটে আসছে। সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধে মৌ-মাছি ছুটে এসে ফুলের রস নিয়ে যাচ্ছে। মৌ-মাছি দিয়ে চলছে মৌয়ালদের খাঁচায় চলছে মধু আহরন। কনেকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মৌয়ালরা সরিষা ক্ষেতের পাশে খাঁচায় (বাক্স) বসিয়ে মৌ-মাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে যাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে দিগন্ত জুড়ে সরিষা ক্ষেতে হলুদের সমারোহ এবং মধু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন এরাকা থেকে মৌয়ালরা।
মির্জাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, চলতি বছর ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য মাত্র ধরা হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদন বেশি হয়েছে। সরিষার মধ্যে রয়েছে টরি, মাঘি ও বারি ১৪ ও ১৭ জাতের। শীত মৌসুমে মির্জাপুর উপজেলার দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফলের সমারোহ বিরাজ করছে। যে দিকে দু,চোখ যায় কেবল সরিষা ফুলের হলুদ রংয়ে মন ছুয়ে যায়। প্রকৃতি প্রেমিরা সরিষা ফুলের হলুদ গন্ধ নিতে সকাল, দুপুর ও বিকেলে ছুটে যাচ্ছেন দিগন্ত জুড়ে সরিষা ক্ষেতের পাশে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন জানিয়েছেন, সরিষা শুধু তেল হিসেবেই নয়, সরিষার কচি পাতা সবজি হিসেবে এবং ডালপালা জালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।
এদিকে সরিষা ক্ষেতের আশপাশে মৌয়ালরা খাঁচা বসিয়ে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। উপজেলার পৌরসভা, ভাওড়া, ওয়ার্শি, ভাদগ্রাম, বানাইল, আনাইতারা, বহুরিয়া, ফতেপুর, জামুর্কি ও লতিফপুর ইউনিয়নের দিগন্ত জুড়ে সরিষা ক্ষেতে মৌয়ালরা সারি সারি বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন।
মৌয়ালরা জানিয়েছেন, সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করে থাকেন। সরিষা ক্ষেতের মধু ভাল মানের। প্রতি কেজি মধু বিক্রি করেন ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা। লাভ মোটামুটি ভাল হয়। তবে এ বছর কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে তাদের মধু আহরনে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্চয় কুমার পাল বলেন, মির্জাপুর উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য মাত্র ধরা হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদন বেশী হয়েছে। সরিষার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষ্কদের সার বীজসহ বিভিন্ন উপকরন বিনামুল্যে দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post