Print Date & Time : 21 September 2025 Sunday 4:02 am

মির্জাপুরে ছাত্রীকে ইভটিজিং, বখাটেকে পুলিশে সোপর্দ

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া ইউনিয়নের বানিয়ারা গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় ইভটিজার ও তার সহযোগিরা ঐ ছাত্রীর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে। উত্তেজিত এলাকাবাসি জোট বেঁধে ইভটিজার ও বখাটে সুজন মল্লিক (৩০) কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বখাটে সুজন মল্লিক বানিয়ারা বাবুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অফিস সহকারী। এই ঘটনায় দুই গ্রামের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।

বানিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও হোমিও চিকিৎসক খন্দকার রাজিউল মাতিন দ্রুবসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, বখাটে ও ইভটিজার সুজন মল্লিকের পিতার নাম জালাল মল্লিক। গ্রামের বাড়ি মহেড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে। সুজন বানিয়ারা বাবুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া গ্রামের এক ছাত্রী বানিয়ারা গ্রামের নানার বাড়িতে থেকে করটিয়া সরকারী সাদত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করে। ওই ছাত্রী করটিয়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কলেজে আসা যাওয়ার পথে বখাটে সুজন তাকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করে আসছিল। উক্ত ছাত্রী বিষয়টি তার নানা ও মামাকে জানালে বখাটে সুজন ও তার সহযোগিরা উল্টো ছাত্রীর মামা জীবন ও মৃদুলসহ কয়েকজনকে মারধোর করে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

আজ শুক্রবার আবারও বখাটে সুজন ঐ ছাত্রীকে ওড়না ধরে উত্যক্ত করে। এলাকার লোকজন বিষয়টি দেখে সুজনকে ধরার জন্য ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তাকে গণপিটুনি দেওয়ার চেষ্টা করলে বখাটে সুজন পালিয়ে গিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয।
লোকজন মির্জাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বখাটে সুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অসহায় কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার এবং এলাকাবাসি বখাটে সুজনের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে বখাটে সুজনকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বানিয়ারা ও তেতুলিয়া গ্রাম বাসির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে বানিয়ারা বাবুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহ তালকদার বলেন, সুজন মল্লিক তার মাদ্রাসার অফিস সহকারী। এক কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় এলাকার লোকজন গণপিটুনি দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম এবং ডিউটি অফিসার মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বখাটে সুজন মল্লিক এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় এলাকার লোকজন ধরে পিটুনি দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।