Print Date & Time : 22 April 2025 Tuesday 10:17 am

মির্জাপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধান কাটার কম্বাইন হারবেস্টার যন্ত্র


মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বোরো মৌসুমে স্বল্প খরচে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কম্বাইন হারবেস্টার। কম্বাইন হারবেস্টার মেশিনে স্বল্প খরচে ও কম সময়ে কৃষকরা ধান কেটে বাড়িতে উঠাতে পারছেন বলে জানিয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ মে) উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বেশ কয়েকটি ধানকাটার কম্বাইন হারবেস্টার যন্ত্র কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় খান আহমেদ শুভ এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, এসিল্যান্ড মো. আমিনুর ইসলাম বুলবুল এবং কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার পালসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খান আহমেদ শুভ এমপি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। মাননীয় প্রধান মন্ত্রনী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে সার, বীজ ও কীট নাশক দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষকরা যাতে স্বল্প খরচে ধান কাটা ওমাড়াই করতে পারেন সে জন্য ৫০ ভাড় ভর্তুকি মুল্যে কম্বাইন হারবেস্টার ধানকাটা যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতে এই যন্ত্র আরও বাড়ানো হবে।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ছিলে ২০ হাজার হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ২০ হাজার ৩০০শ হেক্টর। বোরো ধান কাটার মৌসুমে বিভিন্ন এলাকা ও উত্তরাঞ্চল থেকে ধান কাটা শ্রমিক আসলেও মজুরী বেশী হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা পাকা ধান নিয়ে পরেছেন বিপাকে।
এদিকে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার লক্ষে কৃষি বিভাগ স্থানীয় এমপি খান আহমেদ শুভ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৫০ ভাগ ভর্তুকি মুল্যে মির্জাপুর উপজেলায় পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে এ পর্যন্ত ২০টি কম্বাইন হারবেস্টার ধান কাটার মেশিন বিতরন করেছেন। এই কম্বাইন হারবেস্টার মেশিনের সাহায্যে বিভিন্ন গ্রামের কৃষকগন স্বল্প খরচে ধান কাটতে, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করতে পারছেন। এতে করে সময় যেমন কম লাগছে সেই সঙ্গে খরচও অর্ধেক কমে গেছে বলে সুবিধাভোগি কৃষকরা জানিয়েছেন। ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। যারা কম্বাইন হারবেস্টার মেশিন পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন পৌরসভার আলী আজম খান, তরফপুর ইউনিয়নের শওকত মোমেন শাজাহান ও এরশাদ মিয়া, ভাতগ্রাম ইউনিয়নের রঞ্জিত সরকার, লতিফপুর ইউনিয়নের মিলন, মহেড়া ইউনিয়নের তারা মিয়া, ফতেপুর ইউনিয়নের আব্দুল ওহাব ও মজনু মিয়াসহ ২০ জন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার পাল বলেন, ৫০ ভাগ ভর্তুকি মুল্যে কৃষকরা কম্বাইন হারবেস্টার যন্ত্র পেয়ে বোরো ধানা কাটা, মাড়াই ও প্যাকেটজাত করতে পারছেন। ধান কাটা শ্রমিকের চেয়ে কৃষকদের খরচও অর্ধেক নেমে এসেছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।