মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাত: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই ও লৌহজং নদীর দুই পাড়ে তীব্র ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়েছে।
পানি উন্নেয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ফতেপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেছেন ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ, আওয়ামীলীগ নেতা মো. সিরাজ মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আমিনুর রহমান আকন্দ, এমপির ব্যক্তিগত একান্ত সচিব মীর আসিফ অনিক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাদারন সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম শরিফসহ টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগন।
আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) তিন নম্বর ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ জানান, বংশাই নদী ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পরেছে এলাকার বসত বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার, রাস্তা-ঘাট, বিজ্র-কালভার্ট ও ফসলি জমি। তিনি বলেন, ফতেপুর, থলপাড়া, আদাবাড়ি, বৈন্যাতলী, চাকলেশ্বর, ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল, গাড়াইল, পৌরসভার ত্রিমোহন, পুস্টকামুরী উত্তরপাড়া, কুমারজানি, ফিরিঙ্গিপাড়া, গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা, রশিদ দেওহাটা, কোদালিয়া, হাটুভাঙ্গা ও আজগানা ইউনিয়নে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় চরম বিপাকে পরেছেন ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারগুলো। এছাড়া থলপাড়া ব্রিজ, ত্রিমোহন বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন ব্রিজ, তোদালিয়া ব্রিজ ও হাটুভাঙ্গা ব্রিজ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ্যদের মধ্যে পৌরসভার দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আশরাফ আহমেদ, পুষ্টকামুরী গ্রামের সুজন মিয়া, খবির উদ্দিন, মোজাফ্ফর হোসেন, মিঠু, ফজল ও ফজলু জানান, দীর্ঘ দিন ধরে লৌহজং নদীর ভাঙ্গনে দুর্ভোগের মধ্যে পরেছেন বহু পরিবার। পৌরসভার পুষ্টকামুরী, কান্ঠালিয়া ও আন্ধরা গ্রামে নদী ভাঙ্গনে কয়েক শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পরেছে। দিন দিন ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারন করছে। অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারগুলো এখনও কোন সহযোগিতা পায়নি। বসত বাড়ি হারিয়ে তাদের কষ্টের শেষ নেই। আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছে। লৌহজং নদীর ভাঙ্গনে মাঝালিয়া, গুনটিয়া, চুকুরিয়া, বরাটি, পুষ্টকামুরী, দেওহাটা, কোর্ট বহুরিয়া, বহুরিয়া, কামারপাড়া, নাগরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা নদী ভাঙ্গনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য। হুমকির মুখে লৌহজং নদীর উপর নির্মিত গুনটিয়া ব্রিজ, বরাটি এলাকায় বাবু দুঃখীরাম রাজবংশী ব্রিজ, পুষ্টকামুরী ব্রিজ, পাহাড়পুর ব্রিজ, বহুরিয়া এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নুরু ব্রিজ এবং ওয়ার্শি ব্রিজ হুমকির মুখে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইলের প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বংশাই ও লৌহজং নদীর বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় ভাঙ্গনের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় এমপি, উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্ময় করে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের উদ্যোগে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//