মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা :
বন্যার পানির প্রবল চাপে এলজিইডির অধিনে ২০ মিটার একটি পাকা ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও উক্ত স্থানে পাকা ব্রিজ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছেন মহেড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের কড়াইল-হিলড়া আদাবাড়ি রাস্তার হিলড়া আদাবাড়ি নামক স্থানে পাকা ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ।
আজ শুক্রবার (১৯ মে) মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নুপুর জানান, কড়াইল-আদাবাড়ি রাস্তার হিলড়া আদাবাড়ি নামক স্থানে ২০ মিটার ব্রিজটি গত ৩-৪ বছর ধরে অত্যান্ত ঝুঁকিপুর্ন ছিল। এই ঝুঁকিপুর্ন ব্রিজের উপর দিয়ে মহেড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের অর্ধ লাখ মানুষ যাতায়াত করে আসছিল। গত বছরের বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রিজটির দুই পাশ থেকে মাটি সরে খুবই ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পরে। গত বছরের বন্যায় প্রবল পানির স্রােতে ব্রিজটির দুই পাশ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। ফলে বিপাকে পরেন দুই ইউনিয়নবাসি।
তিনি বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে জানান। ব্রিজটি দ্রুত সময়ের পাকা করে দেওয়ার জন্য তিনি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার পর ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাাঁকো নির্মান করে দেন। উক্ত স্থানে একটি ৩০ মিটার পাকা ব্রিজ নির্মান করে দিবেন বলে এলাকাবাসীকে কথা দিয়েছিলেন। ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার ১০ মাসেও উক্ত স্থানে পাকা ব্রিজ না হওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এলাকাবাসিকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
আদাবাড়ি গ্রামের নবীন সংঘের সাবেক সভাপতি শামীম শরীফ সাইফুল্লাহ অভিযোগ করেন, হিলড়া, ফতেপুর, কড়াইল, বানিয়ারা, ডোকলাহাটি, মহেড়াসহ ১৫-২০ টি গ্রামের লোকজন ঝুঁকিপুর্ন নরবরে বাঁশের সাঁকোয় যাতায়াত করে আসছে। উক্ত স্থানে পাকা ব্রিজ না হওয়ায় দুই ইউনিয়নবাসিকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। একটি পাকা ব্রিজ নির্মানের জন্য তিনি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জনগনের চলাচলের জন্য আপাতত একটি বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়েছে। এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় এখানে পুনরায় পাকা ব্রিজ নির্মান করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//