মির্জাপুর প্রতিনিধি ।। বিভিন্ন বাসাবাড়ির টয়লেটের মুলমুত্র ও দুষিত ময়লা পানি রাস্তার উপর ফেলায় চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি এবং বিপাকে পরেছেন এলাকাবাসি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ দিন ধরে চলছে এ অবস্থা।
ইউনিয়ন পরিষদ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি বার বার অবহিত করার পরও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসি। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ১০ নম্বর গোড়াই ইউনিয়নের শিল্পাঞ্চল এলাকা রাজাবাড়ি উত্তরপাড়া-মানিক মার্কেট এলাকায় রাস্তার উপর টয়লেটের মলমুত্র ও দুষিত ময়লা পানি ফেলার এ ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভুক্তভোগি এলাকাবাসিদের মধ্যে নজরুল ইসলাম, জাবেদ আলী, পোষাক শ্রমিক হালিমা ও হাসমতসহ ৮-১০ জন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গোড়াই শিল্পাঞ্চলের রাজাবাড়ি উত্তরপাড়া- মানিক মার্কেট রাস্তাটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। এই রাস্তার পাশে রয়েছে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, রাজাবাড়ি ডিগ্রি কলেজ, রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজাবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ মাদ্রাসা, হাট বাজার, বৃহৎ প্রতিষ্ঠান খান গার্মেন্টসসহ ছোট বড় মিলে ১৫-২০ টি কলকারখানা। প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, হাজার হাজার শ্রমিক এবং এলাকাবাসি যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তার দুই পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বাসাবাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির মলমুত্র ও দর্ষিত ময়লা পানি রাস্তার উপর ফেলায় চলাচল দুষ্কর হয়ে পরেছে। রাস্তার উপর মলমুত্র ও দষিত পানি ফেলার কারনে দুর্গন্ধে চলাচল দুষ্কর হয়ে পরেছে। ছড়িয়ে পরছে নানা রোগ। বিষয়টি তারা গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা সেনেটারী পরিদর্শসকসহ উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। তার পরও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। বিষয়টির দিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজাবাড়ি ও মানিক মার্কেট এলাকার মিনহাজ, মোতালেব ও সাইফুলসহ ১০-১২ টি বাসাবাসির বাড়ির মালিক অন্যায় ভাবে রাস্তার উপর টয়লেটের মলমুত্র ও দুষিত পানি ফেলায় জনসাধারনের চলাচলে মারাত্বক ভাবে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সেনেটারী পরিদর্শককে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্ত এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম এবং সেনেটারী পরিদর্শক ইসরাত জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাস্তার উপর থেকে টয়লেটের মলমুত্র ও দুষিত পানি পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত বাসাবাড়ির মালিকদের সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তারা মলমুত্র ও দুষিত পানি রাস্তা থেকে পরিষ্কার করেনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসিল্যান্ড মহোদয়কে জানানো হয়েছে। অচিরেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে তারা উল্লেখ করেন।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৪ আগষ্ট-২০২২

Discussion about this post