মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দীর্ঘ দিন পর ক্রীাড়াঙ্গনকে উজ্জীতি করতে প্রায় পাঁচ দশক পর অবহেলিত মিনি স্টেডিয়ামকে সংস্কার করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
তরুণ ও যুবকদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনতে উপজেলা প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
ইতিমধ্যে মিনি স্টেডিয়ামে পুরোদমে শুরু হয়েছে মাটি ফেলা, ঘাষ লাগানোসহ বিভিন্ন সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ। প্রশাসনের এমন মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় তরুণ ও যুব সমাজ, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরের মিনি স্টেডিয়ামে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার মিনি স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি ও উন্নয়ন) সঞ্চয় কুমার মহন্ত এবং টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শিহাব রায়হানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন। মিনি স্টেডিয়ামের সংস্কারসহ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ দেখে তারা প্রশংসা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্র জানায়, বিশাল এলাকা ও মনোরম পরিবেশে ১৯৭৯ সালে মির্জাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ভবন ও খেলার মাঠ নির্মান করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে টাঙ্গাইলের তৎকালিন জেলা প্রশাসক মো. মোবাইদুল ইসলাম এর ভিত্তিপ্রস্তর করে ছিলেন। প্রায় পাঁচ দশক পর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্রীড়া সংস্থার ভবনটি অত্যান্ত ঝুঁকিপুর্ন ও পরিত্যাক্ত। খেলার মাঠের অবস্থা আরও করুণ। ২০১৮ সালে এই খেলার মাঠের নাম করন করা হয় মির্জাপুর মিনি স্টেডিয়াম। এই মিনি স্টেডিয়ামে ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ সরকারী ভাবে সকল ধরনের জাতীয় অনুষ্ঠান পালিত হলেও মিনি স্টেডিয়ামের উন্নয়নের ছোয়া পরেনি। মির্জাপুর শহর ও ঢাকা-টাঙ্গাইল পুরাতন মহাসড়ক থেকে মিনি স্টেডিয়ামটি নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আর বর্ষা মৌসুম এলে ৩-৪ মাস খেলাধূলা বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালে মিনি স্টেয়িামের কিছু উন্নয়ন হলেও মাঝপথে এসে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এলাকার তরুণ ও যুব সমাজ মিনি স্টেডিয়ামে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে এলাকাবাসি, স্থানীয় ক্ষুদে খেলোয়াড়, তরুণ ও যুব সমাজের আবেদনের প্রেক্ষিতে মির্জাপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দীর্ঘ দিন পর মিনি স্টেডিয়ামকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম এলাকার তরুণ ও যুব সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, অভিভাবক, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সঙ্গে পরাশর্র্ম করে মিনি
স্টেডিয়ামের সংস্কারের উদ্যোগ নেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রচেষ্টায় মিনি স্টেডিয়ামে মাটি ফেলার কাজ শেষ করে এখন ঘাষ লাগিয়ে চলছে সৌন্দর্য বর্ধন। দিন রাত চলছে মিনি স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনের নানা কাজ। এলাকার তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে আরাফাত রহমান রাজিব, ইমরান হোসেন ইমন ও রনি জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম আরিফুল ইসলামের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ দিন পর মির্জাপুর মিনি স্টেডিয়াম সংস্কারসহ খেলাধুলার জন্য উপযোগি করা হচ্ছে। এখন এখানে বিভিন্ন জাতয়ি অনুষ্ঠানসহ খেলাধুলার আয়োজন করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে দীর্ঘ দিন ধরে মির্জাপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ভবন ও মিনি স্টেডিয়াম অবহেলিত ছিল। এলাকাবাসির দাবির প্রেক্ষিতে মিনি স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে মাটি ফেলা, ঘাষ লাগানো, গোলপোষ্ট স্থাপন, চারপাশে বাউন্ডারী, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ মাঠকে খেলাধুলার উপযোগি করে তুলতে সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে। তরুণ ও যুব সমাজ যাতে নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য ক্রীকেট সেট, ফুটবল, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্রীকেট, ফুটবল ও ভলিবলের লীগ খেলা শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, মিনি স্টেডিয়ামকে যুযোপযোগিী গড়ে তুলতে টাঙ্গাইলের জেরা প্রশাসক শরীফা হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি ও উন্নয়ন) সঞ্চয় কুমার মহন্ত এবং টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শিহাব রায়হানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্ত পেলে ক্রীড়া সংস্থার ভবন নির্মানসহ মিনি স্টেডিয়ামের আরও উন্নয়ন করা হবে।

Discussion about this post