Print Date & Time : 22 September 2025 Monday 2:08 pm

মির্জাপুরে দেড় বছর গৃহবধুর লাশ শনাক্ত, গ্রেফতার ২

মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দেড় বছর পর ডিএনএ পরীক্ষায় কঙ্কালের দাঁত দেখে গৃহবধ স্বপ্নার লাশের শনাক্ত হয়েছে। চাঞ্চল্যকর খুনের রহস্য উৎঘাটন এবং খুনের সঙ্গে জড়িত দুই ঘাতককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত ঘাতকরা হলেন মির্জাপুর উপজেলার টাকিয়া কদমা গ্রামের মুকাররম আলীর পুত্র ও স্বপ্নার শ্বশুর আব্দুস সালাম মিয়া (৬৫) এবং এবং একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও স্বপ্নার চাচা শ্বশুর শফিকুল ইসলাম। স্বপ্নার স্বামী দুলাল মিয়া এখনও বিদেশে পলাতক।

এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বপ্নার মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গত বছরের ৫ মে মহেড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের বিল থেকে বেওয়ারিশ হিসেবে স্বপ্নার লাশের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ রবিবার মির্জাপুর থানায় মামলার সুত্র থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ জুলাই নিখোঁজ হন গৃহবধূ স্বপ্না। খবর শুনে ঘটনার পরের দিন স্বপ্নার স্বামি দুলাল মিয়া বিদেশ থেকে বাড়ি চলে আসেন। বিদেশ থেকে ফিরে এসে দুলাল মিয়া দাবি করেন, বিদেশ থেকে পাঠানো বিপুল পরিমান অর্থ, স্বর্নালংকারসহ মালামাল নিয়ে পরকীয়ার জেরে স্বপ্না পালিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের ৫ মে তেতুলিয়া বিলের মাঝে এলাকাবাসি এক গৃহবধুর কঙ্কাল দেখতে পান। পুলিশ খবর পেয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেন। কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে তার স্বামি দুলাল মিয়া আবার বিদেশে আত্নগোপনে চলে যান।
এদিকে কঙ্কালের গলায় একটি তাবিজ দেখে নিজের মেয়ে দাবি করেন স্বপ্নার মা জুলেখা বেগম। দীর্ঘ দিন পর ডিএনএ পরীক্ষায় কঙ্কালের দাঁত দেখে নিশ্চিত হন এই লাশ ছিল স্বপ্না আক্তারের। স্বপ্নার মা জুলেখা বেগমসহ তার পরিবারের দাবি স্বপ্নাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য তেতুলিয়া বিলের মধ্যে ফেলে রেখেছিল। তারা খুনিদের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার স্বপ্নার মা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মির্জাপুর থানা পুলিশ শ্বশুর আবউস সালাম মিয়া ও চাচা শ্বশুর শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। স্বপ্নার স্বামি দুলাল মিয়া এখনও পলাতক।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, স্বপ্নার হত্যা ছিল পরিকল্পিত ও সাজানো নাটক। আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। স্বামি বিদেশ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।