মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা ।।গ্রাম্য শালিসে মাতাব্বরদের হাতে নির্যাতনের শিকার ডিএম সালমান (১৬) নামে এসএসসি পরীক্ষার্থী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কি ইউনিয়নের চুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সালমান বানাইল ইউনিয়নের জনতা গল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সালমানের পিতার নাম শাসসুল আলম দেওয়ান।
গ্রামের বাড়ি আজগানা ইউনিয়নের কুড়াতলী গ্রামে। মাকে নিয়ে সে চুকুরিয়া গ্রামে নানার বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতো।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সালমানের সহাপাঠি ও চুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জল হোসেনসহ একাধিক ব্যাক্তি জানায়, সালমান এবং তার বন্ধু আলামিন চুকুরিয়া গ্রামের শফিকুলের দোকানে বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতো। গত কয়েক দিন পুর্বে দোকানদার শফিকুলকে টাকা না দিয়ে সালমানের বন্ধু আলামিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দোকানদার শফিকুল টাকার জন্য সালমানকে চাপ দেয় এবং গ্রামের মাতাব্বরদের কাছে বিচার দাবী জানায়। এ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট চুকুরিয়া গ্রামের সেকান্দার মিয়ার বাড়িতে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হয। শালিসে সালমানকে ধরে নিয়ে নির্যাতন এবং টাকার জন্য একটি ঘরে আটকিয়ে রাখা হয়। শালিসে সেকান্দার, আব্দুল লতিফ ও সাইফুলসহ ১৫-২০ জন মাতাব্বর ছিল।
এদিকে ঘরে আটক থাকা অবস্থায় সালমান এই ঘটনা চুকুরিয়া গ্রামের মামুন নামে এক যুবককে মোবাইল জানায়। রাত একটার দিকে মামুন এসে তাকে উদ্ধার করে। নির্যাতনের শিকার সালমান পরের দিন বিষপানে আতœহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামুর্কি সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাতে সালমান মারা যায়। ঘটনার পর থেকেই গ্রাম্য ঐ মাতাব্বরগন গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। সালমানের সহপাঠি, শিক্ষক, পরিবার এবং এরাকাবাসি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার এসআই মো. আবু সাইদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//২ সেপ্টেম্বর-২০২২

Discussion about this post