মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের পাইখার ভাওড়া এলাকায় ৫০০ শত মিটার একটি রাস্তার উন্নয়ন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় কোমলমতি শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে। কাঁদা পানি মারিয়ে স্কুলে যাতায়াত করায় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এসব শিশুরা। রাস্তাটি পাকা করনের জন্য এলাকাবাসি দীর্ঘ দিন ধরে দাবী জানিয়ে আসলেও প্রশাসন বা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগি এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পাইখার ভাওড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী খন্দকার রাকিবুল হাসান রিপনসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ভাওড়া ইউনিয়নের সবচেয়ে অবহেলিত একটি গ্রাম পাইখার ভাওড়া। এই গ্রামে রয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাকঘর, কমিউনিটি সেন্টার, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মির্জাপুর-কামারপাড়া সড়কের মুল রাস্তা থেকে পাইখার ভাওড়া পর্যন্ত ৫০০ শত মিটার একটি পাকা রাস্তার দাবী এলাকাবাসির দীর্ঘ দিনের। দেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও এই রাস্তাটি পাকা করনসহ কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাঁদা পানি জমে চলাচল দুষ্কর হয়ে পরে। বর্ষা মৌসুম এলেই ৪-৫ মাস জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। এ যেন বাতির নিচেই অন্ধকার। দুর্ভোগ ও ঝুঁকির মধ্যেই সাধারণ লোকজন ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়সহ মসজিদ মাদ্রাসায় যাতায়াত করে আসছে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা করনের জন্য কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, তার ইউনিয়নের পাইখার ভাওড়া গ্রামে যাতায়াতের জন্য মির্জাপুর-কামারপাড়া সড়কের মুল সড়ক থেকে একটি রাস্তা পাকা করনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি ইউপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, পাইখার ভাওড়া গ্রামে যাতায়াতের জন্য একটি পাকা রাস্তার অভাবে এলাকাবাসি দীর্ঘ দিন ধরে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। একটি পাকা রাস্তা নির্মান জরুরী হয়ে পরেছে। এলাকাটি নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে এবং বর্ষা মৌসুম শুরু হলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। বিষয়টি ইতিমধ্যে আমার নজরে এসেছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমন্ময় করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাইখার ভাওড়া গ্রামে যাতায়াতের জন্য একটি পাকা রাস্তা তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

Discussion about this post