মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাথরঘাটা-পেকুয়া রোডে ঝুঁকিপুর্ন ভাঙ্গা ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভাঙ্গা ব্রিজের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় তিন উপজেলার হাজার হাজার লোকজনকে ১০-১২ কি. মি. ঘুরে উপজেলা ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ন ব্রিজটি নতুন ভাবে তৈরি করা জরুরি হয়ে পরেছে। আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে এলাকার লোকজন ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার হচ্ছে।
পাথরঘাটা বাজারের ব্যবসায়ী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইজ্জত আলী জনি ও উত্তর পেকুয়া জাগরণী উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী জহিরুল ইসলাম জহির জানান, এলজিইডির অধিনে পাথরঘাটা-পেকুয়া রোডটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। এই রোড দিয়ে মির্জাপুর, বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার হাজার হাজার রোকজন যাতায়াত করে আসছে। রাস্তার চার দিকে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ৭-৮ মাস পুর্বে ব্রিজের মাঝখানে ভেঙ্গে অত্যান্ত ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পরেছে। রক্ষনা বেক্ষনের অভাবে এই ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রিজটি মেরামত বা ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভাবে তৈরীর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিধি এবং এলাকাবাসি এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের বার বার অনুরোধ করলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে এলাকাবাসিকে ১০-১২ কি. মি. ঘুরে উপজেলা ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। এতে এক দিকে যেমন সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে. তেমনি দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসিকে। ব্রিজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মানের জন্য জোর দাবী এলাকাবাসির।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, পাথরঘাটা-পেকুয়া রোডের খালের উপর ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙ্গে অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পরেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল না করার জন্য প্রশাসন থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। ব্রিজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মানের জন্য প্রকল্প তৈরি করে অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্ধ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি নির্মান করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post