Print Date & Time : 16 May 2025 Friday 2:07 am

মির্জাপুরে শত্রুতার জের: কৃষকের উপর সন্ত্রাসী হামলা

ভেঙ্গে দিয়েছে হাত, ক্যাডার মাসুমের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না নিরীহ পরিবার


পুর্ব সত্রুতার জেরে ও বোরা জমিতে পানি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে অসহায় কৃষক মোশারফ হোসেন (৫০)। এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও বিএনপি নেতা ক্যাডার মাসুম মিয়া ও তার লোকজন অসহায় কৃষক মোশারফ হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে ও পিটিয়ে একটি হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। হাসপাতালে সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনার ১৪ দিন পার হলেও ক্যাডার মাসুমের ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না অসহায় ও নিরীহ কৃষক মোশারফের পরিবার। ন্যায় বিচার না পেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনকায় ভুগছেন বেল অভিযোগ করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ত্রিমোহন ফিরিঙ্গিপাড়া গ্রামে এ অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার (৪ মার্চ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোশারফের ছোট ভাই আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, ত্রিমোহন ফিরিঙ্গিপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র ক্যাডার মাসুম মিয়া এই সন্ত্রাসী হামলার মুল নায়ক। গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে তার ভাই মোশারফ হোসেন নিজের জমিতে পানি দিতে যায়। বোরো জমিতে পানি দেওয়া এবং পুর্ব সত্রুতার জের ধরে ক্যাডার মাসুম ও তার সহযোগিরা তার ভাই মোশারফ হোসেনের উপর লাঠিসোঠা দিয়ে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা তার ভাই মোশারফের একটি হাত ভেঙ্গে দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ও আশপাশের লোকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে জামুর্কি সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শরীর ক্ষতবিক্ষত এবং একটি হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে ন্যায় বিচার চেয়ে গুরুতর আহত মোশারফের স্ত্রী, ভাই আব্দুল গনি, আনোয়ার ও জনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার মাতাব্বরদের কাছে গেলেও ক্যাডার মাসুমের ভয়ে আজ পর্যন্ত তারা কোন বিচার করতে পারছে না। ক্যাডার মাসুমের ভয়ে পরিবারটি আইনের কোন আশ্রয় নিতে না পেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। তারা সন্ত্রাসী মাসুম মিয়াকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট।
অপর দিকে ঐ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাডার মাসুমের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। অন্যের জমিতে জোর পুর্বক ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করে ভয়ভিতি দেখিয়ে টাকা আদায়, অন্যের জমি দখল, নিরীহ লোকজনকে ভয়ভিতি দেখিয়ে সুবিধা আদায়সহ রয়েছে নানা অভিযোগ। ঐ এলাকার শুকুর মাহমুদ, স্যানাল, রমজান আলী, কাওসার, কৃষ্ণ, আবর আলিসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়েছে মাসুম। ঐ পরিবারগুলোও এখন পর্যন্ত কোন ন্যায় বিচার পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযক্ত মাসুম মিয়ার মিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সেলফোনে (০১৬৩০-৩৮৫১৩৯) একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, ত্রিমোহন ফিরিঙ্গিপাড়া গ্রামে পুর্ব সত্রুতা ও জমিতে পানি দেওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এলাকার শান্তির লক্ষে দুই পক্ষের সঙ্গে বসে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান এবং ন্যায় বিচার করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।