Print Date & Time : 13 May 2025 Tuesday 5:48 pm

মির্জাপুরে বদলে গেছে এলাকার অবকাঠামোর উন্নয়ন চিত্র

মির্জাপুরে দেড় বছরে যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য সেবায় কয়েক শত কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন মুলক কাজ হয়েছে।
বিপুল অংকের টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ হওয়ায় বদলে গেছে এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন চিত্র। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে যুগান্তকারী এক মাইল ফলক। প্রতিটি সেক্টরে সুষম উন্নয়ন মুলক কাজ হওয়ায় এলাকার সাধারন জনগন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আজ শুক্রবার উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এসব উন্নয়ন চিত্র দেখা গেছে।

ভুমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদয়ি স্থায়ী কমিটির সদস্য খান আহমেদ শুভ এমপি ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা গ্রামকে শহরে রুপান্তর বাস্তবায়ন করার লক্ষে গত দেড় বছরে মির্জাপুরে কয়েক শত কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। এটি সারা বাংলাদেশের মধ্যে উন্নয়নের এক রোড মডেল হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।

গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হুমায়ুন কবীর জানান, মির্জাপুর উপজেলা রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে হলেও যোগাযোগসহ উন্নয়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘ ৫২ বছর মির্জাপুর পৌরসভা, মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাওড়া, বহুরিয়া, ভাদগ্রাম, লতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর এবং বাঁশতৈল এই ১৪ ইউনিয়ন ছিল খুবই অবহেলিত। উত্তরে বংশাই ও দক্ষিনে লৌহজং নদীতে ব্রিজ না থাকায় এবং রাস্তাঘাট পাকা না হওয়ায় দুর্গম এলাকার জনসাধারনের কষ্টের সীমা ছিল না। প্রয়াত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেনের প্রচেষ্টায় গত ১৬ বছরের ব্যবধানে মির্জাপুরে উন্নয়নে রোড মডেল হয়েছে। তার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন খান আহমেদ শুভ। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর মির্জাপুরকে ঢেলে সাজানোর জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্্র ভবন নির্মান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্র ভবন নির্মান, বংশাই ও লৌহজং নদীর উপর ১০ টি ব্রিজ নির্মান, গ্রামীণ পাকা রাস্তা পাকা করন, ব্রিজ-কাল-ভার্ট নির্মান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান, দরিদ্রদের জন্য আবাসন প্রকল্প, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে, উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গত চার বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৮০ মি. মি. পাকা রাস্তা, প্রায় ১২২ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫শ মিটার পাকা ব্রিজ, প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৯০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে সামাজিক উন্নয়ন কাজ, প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্্র ভবন ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্্র ভবন নির্মান, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যাযে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষন ভবন এবং ইউনিয়ন ভুমি অফিস নির্মান, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে খাল খনন করা হয়েছে। এছাড়া ১৫০ কোটি টাকার পাকা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ও অবকাঠামো উন্নয়ন মুলক প্রজেক্ট বিভিন্ন মন্তনালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০২২ সালে বর্তমান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরও প্রায় দুইশত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, এই মন্ত্রনালয়ের অধিনে গত চার বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় ৪০ টি ছোট বড় ব্রিজ, প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় ৮ কি. মি. পাকা রাস্তা এবং প্রায় ২ কোটি টাকার টিআর ও কাবিখার উন্নয়ন মুলক কাজ হয়েছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসেন বলেন, গত চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রায় প্রায় ১০০শ কোটি টাকার নতুন বহুতল ভবন নির্মান হয়েছে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায়।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই মন্ত্রনালয়ের অধিনে মির্জাপুর-ওয়ার্শি-বালিয়া, মির্জাপুর-নাগরপুর-কেদারপুর, পাকুল্যা-লাউহাটি-দেলদুয়ার ও গোড়াই-সখীপুর রাস্তায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ করা হয়েছে। ।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, উপজেলা পরিষদ ও তার মন্ত্রনালয়ের অধিনে মির্জাপুর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় প্রায় ৯০ কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ হয়েছে।

পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, পৌরসভার নয় ওয়ার্ডে প্রায় ৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ বলেন, এলাকার জনগন আমাকে নির্বাচিত করেছেন সুষম উন্নয়নের জন্য। এলাকার যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা ও মাদক মুক্ত সমাজ গঠনসহ সুষম উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। মির্জাপুরবাসীকে একটি আদর্শ ও মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দিয়ে যেতে চাই। আগামী নির্বাচনে জনগন ঙদি আমাকে আরও নির্বাচিত করেন প্রধান মন্ত্রীর সহযোগিতায় মির্জাপুরকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//