টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম নুরু (৭৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না নিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। প্রবীণ ও বর্ষিয়ান এই আওয়ামীলীগের নেতার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক ও স্থানীয় সাংসদ খান আহমেদ শুভ এমপি তার আত্তার মাগফেরাত কামনায় গভীর শ্রদ্ধা এবং পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
দেওহাটা আলহাজ¦ জোনাব আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. খোরশেদ আলম জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নুরুর পিতার নাম মৃত মো. ছানোয়ার হোসেন। গ্রামের বাড়ি বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে। তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত প্রাণ ও সক্রীয় কর্মী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে স্বাধীনতা যুদ্ধে াংশ গ্রহন করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী হিসেবে কাজ করেছেন।
আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি রাজপথে সক্রীয় ছিলেন। তিনি বাংলার আলীগড় নামে খ্যাত সরকারী সরকারী সাদত বিশ^বিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সম্প সম্পাদক ও সহসভাপতির দায়িত্ব পালন এবং ১৩ নং বাঁশতৈল ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। বার্ধক্যজনিত কারনে তিনি বেশ কিছু দিন ধরে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বুধবার (১৭ মে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলেসহ াংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ঈদগাঁ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনারের পর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। বর্ষিয়ান এই আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তস, মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর্জা শামীমা আক্তার শিফা, মো. আজাহারুল ইসলাম আজাহার ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৮ মে ২০২৩