Print Date & Time : 11 May 2025 Sunday 1:15 am

মির্জাপুরে ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এমপির ঘটনাস্থল পরিদর্শন


মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
বন্যার পানির প্রবল চাপে এলজিইডির অধিনে ২০ মিটার একটি পাকা ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছেন। ফলে দুর্ভোগে পরেছেন মহেড়া ও ফতেপুর এই দুই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের কড়াইল-হিলড়া আদাবাড়ি সড়কের হিলড়া আদাবাড়ি নামক স্থানে পাকা ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।
এদিকে ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে আজ শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও এফবিআইসিসির পরিচালক এবং টাঙ্গাইল জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের সভাপতি খান আহমেদ শুভ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকাবাসির চলাচলের জন্য একটি বাঁশের সাাঁকো নির্মানের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঐ স্থানে একটি ৩০ মিটার পাকা ব্রিজ নির্মান করে দিবেন বলে এলাকার জনগনকে আশ^স্ত করেছেন।
আজ শুক্রবার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নুপুর জানান, কড়াইল-আদাবাড়ি রোডের হিলড়া আদাবাড়ি নামক স্থানে ২০ মিটার ব্রিজটি গত ৩-৪ বছর ধরে অত্যান্ত ঝুঁকিপুর্ন ছিল। এই ঝুঁকিপুর্ন ব্রিজের উপর দিয়ে মহেড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের অর্ধ লাখ মানুষ যাতায়াত করে আসছিল। গত ১০-১২ দিন ধরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রিজটির দুই পাশ থেকে মাটি সরে খুবই ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পরে। গতকার বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে পানির স্্েরাতে ব্রিজটির দুই পাশ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। ফলে বিপাকে পরেন দুই ইউনিয়নবাসি। তিনি বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেরা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে জানান। ব্রিজটি দ্রুত সময়ের পাকা করে দেওয়ার জন্য তিনি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও এফবিআইসিসির পরিচালক এবং টাঙ্গাইল জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের সভাপতি খান আহমেদ শুভর সঙ্গে যোগাযোগ কার হেল তিনি বলেন, বন্যার পানির প্রবল চাপে ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি উপজেলা প্রকৌশলীকে বাঁশের সাঁকো নির্মানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানি কমে যাওয়ার পর এখানে পাকা ব্রিজ নির্মান করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জনগনের চলাচলের জন্য আপাতত একটি বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হচ্ছে। পানি কমে যাওয়ার পর এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় এখানে পুনরায় পাকা ব্রিজ নির্মান করা হবে।