মীর আনোয়ার হোসেন টুটুল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই শিল্পাঞ্চলে পুলিশের সাবেক এক ডিআইজির ভাড়া বাসায় মিতালি গেস্ট হাউজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কাজে জড়িত গেস্ট হাউজের মানেজার ও নারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ম্যানেজার শাহজাহান (৪৫), দুই নারী লামিয়া (৩০) ও সোনিয়া আক্তার (৩০)। এই গেস্ট হাউজে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতার ছত্র ছায়ায় দীর্ঘ দিন ধরে এই অনৈতিক কাজ চলে আসছিল বলে অভিযোগ পান প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন।
অভিযানের পর পালিয়ে গেছে ঐ নেতারা। সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে মিতালি গেস্ট হাউজ।
আজ শনিবার (২১ জুন) পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসি জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন গোড়াই শিল্পাঞ্চলে গোড়াই এলাকায় পুলিশের সাবেক এক ডিআইজির ভাড়া বাসায় আবাসিক হোটেলে মিতালি নামে গেস্ট হাউজ বানিয়ে নারী ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ চলে আসছে।
স্থানীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন প্রভাবশারী নেতা অন্য জেলার লোকজন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এই অনৈতিক কাজ নারী ব্যবসা করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মিতালি গেস্ট হাউজে দিনে রাতে এই নারী ব্যবসা চলায় পরিবেশ হুমকির মুখে পরেছে। অনেকে ভয়ে ও লোক –লজ্জায় মুখ খুলেনি।
গোপন সংবাদ পেয়ে গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) রাতে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ বি এম আরিফুল ইসলাম ও মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে মিতালি গেস্ট হাউজে অভিযানে যান।
অভিযানের সময় গেস্ট হাইজে অনৈতিক কাজে জড়িত সন্দেহে ম্যানেজারসহ অন্তত ১১ জন নারী পুরুষকে আটক করে।
অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মুল হোতারা পালিয়ে যায়। তদন্তের সার্থে সাবেক ঐ ডিআইজির নাম ও বিএনপি নেতাদের নাম প্রকাশ করেননি পুলিশ। মির্জাপুর থানায় মানব পাচারসহ নারীদের নিয়ে দেহ ব্যবসার মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ। মামলায় ম্যানেজার নোয়াখালির শাহজাহান (৪৫), ময়মনসিংহের লামিয়া (৩০) ও বরিশালের সোনিয়া আক্তার (৩০) এই তিন জনকে আসামি করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক অন্য ৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, মিতালি গেস্ট হাউজে অভিযান চালিয়ে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ম্যানেজারসহ দুই নারীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য যারা ছিলেন তদন্তে প্রমানিত না হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Discussion about this post